ইংলিশ জোয়ারে ভেসে গেল অস্ট্রেলিয়া, নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে বিশ্বকাপ
লিগ পর্বে দুদলের দেখায় জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে শঙ্কায় পড়েছিল ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে উঠা। কিন্তু এরপর থেকে দুরন্ত গতিতে ছুটে এগিয়ে সেমিতে পা রাখে আরও দুর্বার ইয়ন মরগ্যানের দল। অস্ট্রেলিয়াকে দুমড়ে মুচড়ে বিদায় করে ফাইনালে পা রেখেছে তারা।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে অ্যাশজের আগে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ঝাঁজই ছিল অন্যরকম। পুরো গ্যলারি উৎসবে মাতিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ সমর্থকরা। মাঠের খেলায়ও অস্ট্রেলিয়াকে একদম কোণঠাসা করে জিতেছে ইংল্যান্ড।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া বিদায় নেওয়ায় আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কেউই আর টুর্নামেন্টে টিকে রইল না। ১৪ জুলাই লর্ডসে ফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ে তাই নতুন কারো হাতেই উঠতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফি।
অস্ট্রেলিয়াকে ২২৩ রানে গুটিয়ে ১০৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
জেসন রয়ের শুরুর ঝড়ের পর ২২৪ রান তাড়া হয়ে যায় তুড়ি বাজানোর মতো সহজ। জনি বেয়ারস্টো ফিরলেও মরগ্যান, জো রুটরা অনায়াসে সেরেছেন সেই কাজ।
অবশ্য ইংলিশদের জেতার কাজ সেরে রেখেছিলেন বোলাররাই। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে যেন লাভই হয় ইংল্যান্ডের। প্রথম ১৬ বলেই ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চকে তুলে নেয় তারা। জোফরা আর্চার, ক্রিস ওকসের তোপে ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন স্টিভ স্মিথ আর অ্যালেক্স ক্যারি। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে তাদের ১০৩ রানের জুটির পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে অসি ইনিংস। শেষ দিকে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে আরেকটি জুটিতে দলকে দুশো পার করান স্মিথ। কিন্তু ব্যাটিং উইকেটে দল পায়নি পর্যাপ্ত পূঁজি।
সেই রান যে কতটা কম তা ব্যাটের তান্ডবে বুঝিয়ে দিয়েছেন রয়, মরগ্যানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২২৩ (ওয়ার্নার ৯, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৮৫, হ্যান্ডসকম ৪, ক্যারি ৪৬, স্টয়নিস ০, ম্যাক্সওয়েল ২২, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২৯, বেহরেনডর্ফ ১, লায়ন ৫*; ওকস ৮-০-২০-৩, আর্চার ১০-০-৩২-২, স্টোকস ৪-০-২২-০, উড ৯-০-৪৫-১, প্লাঙ্কেট ৮-০-৪৪-০, রশিদ ১০-০-৫৪-৩)।
ইংল্যান্ড: ৩২.২ ওভারে ২২৬/২ (রয় ৮৫, বেয়ারস্টো ৩৪, রুট ৪৯*, মর্গ্যান ৪৫*; বেহরেনডর্ফ ৮.১-২-৩৮-০, স্টার্ক ৯-০-৭০-১, কামিন্স ৭-০-৩৪-১, লায়ন ৫-০-৪৯-০, স্মিথ ১-০-২১-০, স্টয়নিস ২-০-১৩-০)।
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ক্রিস ওকস
Comments