লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

Lalmonirhat flood
১১ জুলাই ২০১৯, বন্যার পানি বাড়িঘরে ঢুকে পড়ায় ভোগান্তিতে রয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার বাগডোরা গ্রামের অধিবাসীরা। ছবি: স্টার

প্রবল বর্ষণ আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রধান এই দুই নদীসহ জেলার সবকটি নদীর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

এর ফলে অবনতি হয়েছে লালমনিরহাটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন জেলার ১৯টি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা কুটিরপাড় এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে তিস্তার পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়। ডুবে যাচ্ছে ঘর-বাড়ী ও আবাদি জমি। ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।

বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেকে গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে। গত চারদিন ধরে খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের চরম সঙ্কটে অমানবিক জীবন-যাপন করছেন দুর্গত এলাকার মানুষজন। শুকনো খাবার খেয়ে জীবনধারণ করছেন তারা। বাধ্য হয়েই পানিতে ডুবে থাকা নলকূপের পানি পান করছেন অনেকে।

লালমনিরহাটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বজলে করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, যেহেতু গত কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামছে সেহেতু তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ কারণ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

“এই মুহূর্তে পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। পানি বৃদ্ধি আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকলে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করবে,” যোগ করেন বজলে করিম।

জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান যে তিনি বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করছেন। দুর্গত মানুষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৮ মেট্রিক টন চাল। এসব চাল বিতরণ করা শুরু হয়েছে।

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Newly formed BWTCC starts allocating serials of lighter vessels

The cell also cuts freight rates by up to 5%

1h ago