ম্যাকগ্রা-পন্টিংয়ের রেকর্ড ভাঙা পড়ল, শচীনের...

অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ডটা টিকে ছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে। তার স্বদেশী গ্লেন ম্যাকগ্রার কীর্তিটা পরের আসর অর্থাৎ ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে। দুটোই ভাঙা পড়েছে এবারের বিশ্বকাপে।
sachin and  mcgrath and ponting
ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ডটা টিকে ছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে। তার স্বদেশী গ্লেন ম্যাকগ্রার কীর্তিটা পরের আসর অর্থাৎ ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে। দুটোই ভাঙা পড়েছে এবারের বিশ্বকাপে।

বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার কৃতিত্বটা এখন ইংল্যান্ডের জো রুটের। আর সর্বোচ্চ উইকেটশিকার করার রেকর্ডটা শোভা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ারই মিচেল স্টার্কের নামের পাশে।

তবে ২০০৩ আসরেই ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের গড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা এখনও অক্ষত এবং বলা যায় বেশ নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। চলতি আসরে যে তিনজন ব্যাটসম্যান তার অর্জনের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন, তারা সবাই একে একে ধরেছেন বাড়ির পথ।

ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- ক্রিকেটের তিন মৌলিক বিষয়। তাই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডটা এই অর্থে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ যে, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটিরই ব্যাপক অবদান থাকে।

সর্বোচ্চ ক্যাচ ও সর্বোচ্চ উইকেট:

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সে ম্যাচেই হয়েছে নতুন দুটি রেকর্ড।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অসিদের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন প্যাট কামিন্স। প্রথম স্লিপে তার ক্যাচটি নেন রুট। টপকে যান পন্টিংকে। ২০০৩ সালে ১১ ম্যাচে ১১টি ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি। রুট ১০ ম্যাচেই লুফে নিয়েছেন ১২টি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন স্টার্ক। জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়। চলতি বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০০৭ সালে ম্যাকগ্রা ১১ ম্যাচে পেয়েছিলেন ২৬ উইকেট।

সর্বোচ্চ রান:

ভারতের রানার্সআপ হওয়ার পথে ২০০৩ আসরে ১১ ইনিংসে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন। এবার লিগ পর্বে তার উত্তরসূরি রোহিত শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ছয়শোর বেশি রান করে ফেলেন।

বাংলাদেশ প্রথম পর্বে বাদ পড়ায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে থামতে হয় ৬০৬ রানে (৮ ইনিংস)। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াও। তাই রোহিত আটকে গেছেন ৬৪৮ রানে (৯ ইনিংস), ওয়ার্নার ৬৪৭ রানে (১০ ইনিংস)।

সেমিতেই শচীনকে পেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। তবে নিজ নিজ ম্যাচে রোহিত ১ ও ওয়ার্নার ৯ রান করে সাজঘরে ফেরায় তা হয়নি। যদিও লিটল মাস্টার খ্যাত কিংবদন্তিকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজনের সামনে, তবে সে পথটা বেশ কঠিন।

ভাঙতে পারেন যারা:

বিশ্বকাপে টিকে থাকা অর্থাৎ ফাইনালে খেলবেন এমন তারকাদের মধ্যে রান সংগ্রহে সবার উপরে আছেন ইংলিশ তারকা রুট। এবার ১০ ইনিংসে তিনি করেছেন ৫৪৯ রান। শচীনকে পেছনে ফেলতে তার চাই ১২৫ রান।

৯ ইনিংসে ৫৪৮ রান নিয়ে পরের অবস্থানেই আছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। দুই দলের বাকিদের কারও নেই পাঁচশো রান। চারশোর বেশি রান আছে দুজনের- ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (১০ ইনিংসে ৪৯৬ রান) ও জেসন রয়ের (৬ ইনিংসে ৪২৬ রান)।

ফাইনালে সেঞ্চুরি:

আগামী রবিবার (১৪ জুলাই) ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে লর্ডসে নামবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। শচীনের রেকর্ড ভাঙা পড়বে না-কি অক্ষত থাকবে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে সেদিনই। তাকে ছাড়িয়ে যেতে সেঞ্চুরি তো হাঁকাতেই হবে সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখা ব্যাটসম্যানদের।

বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরির সংখ্যাও একেবারে বিরল নয়। আগের ১১ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দেখা গেছে ছয়টি সেঞ্চুরি। তাদের পাঁচজন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নিয়েছিলেন, দুর্ভাগ্য কেবল একজনের।

১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড ও ১৯৭৯ সালে একই দেশের ভিভ রিচার্ডস সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ফাইনালে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে শতরানের দেখা পেয়েছিলেন যথাক্রমে দুই অসি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

২০১১ আসরের বিশ্বকাপের ফাইনালে লঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে। ৮৮ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপের মেডেলই উঠেছিল তার গলায়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago