সব অধিনায়ককে টপকাতে ফাইনালে ১ রান চাই উইলিয়ামসনের
এবারের বিশ্বকাপে নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় কেন উইলিয়ামসন। দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, চাপের মুখে বুক চিতিয়ে রান করছেন, বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিচ্ছেন, প্রয়োজনের মুহূর্তে ঠিকঠাকভাবে ক্যাচ ধরছেন- সবখানেই তার বিচরণ। বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার দৌড়েও আছেন তিনি। ছন্দে থাকা উইলিয়ামসনকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে একটি মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত রেকর্ডও।
বিশ্বকাপের এক আসরে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি নিজের করে নেওয়ার সুবাস পাচ্ছেন কিউই দলনেতা। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন তিনি। অর্থাৎ আগামীকাল রবিবার (১৪ জুলাই) ফাইনালে মাত্র এক রান করতে পারলেই সেই ১৯৭৫ সাল থেকে বিশ্বকাপ মাতিয়ে আসা নামজাদা সব অধিনায়কদের পেছনে ফেলবেন তিনি।
উইলিয়ামসন বিশ্বকাপের ৮ ইনিংসে ব্যাট করে ৯১.৩৩ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৫৪৮ রান। ২০০৭ আসরে জয়াবর্ধনে ১১ ইনিংস খেলে ৬০.৮৮ গড়ে সমানসংখ্যক রান করেছিলেন। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিং। ২০০৭ সালে অসিদের টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের আসরে ৯ ইনিংসে ৬৭.৩৭ গড়ে ৫৩৯ রান করেছিলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে ১০ ইনিংসে ৫০.৭০ গড়ে ৫০৭ রান করা অসি দলনেতা অ্যারন ফিঞ্চ আছেন তিন নম্বরে।
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৯৫ বলে ৬৭ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। ছুঁয়ে ফেলেন লঙ্কান জয়াবর্ধনেকে। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স (৪৮২ রান, ২০১৫ আসর), ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি (৪৬৫ রান, ২০০৩ আসর), শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা (৪৬৫ রান, ২০১১ আসর) ও স্বদেশী মার্টিন ক্রোর (৪৫৬ রান, ১৯৯২ আসর) মতো রথী-মহারথীদের পেছনে ফেলেন উইলিয়ামসন।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখা নিউজিল্যান্ড কখনও জেতেনি শিরোপা। গেলবারের আগে ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল না দলটির। এবার উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে এবং বলা চলে প্রায় একক নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুব কাছে পৌঁছে গেছে তারা। বাকি আর মাত্র একটি ধাপ। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে আরেকটিবার তার জ্বলে ওঠার প্রতীক্ষায় কিউইরা।
Comments