চার বছরের নিবেদনের ফল পাওয়ার সামনে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ওই ধাক্কার পরই বদলে যায় ইংলিশ ক্রিকেট। খোলনলচে বদলে রক্ষণাত্মক ধারা থেকে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট আত্মস্থ করে তারা। গেল চার বছর জুড়েই ইংল্যান্ড দেখিয়েছে চোখ ধাঁধানো ক্রিকেট। এবার সাফল্যের চূড়ান্ত ধাপের সামনে দাঁড়িয়ে ইয়ন মরগ্যান বললে, চূড়ান্ত পুরস্কার হিসেবে বিশ্বকাপটা পেতে কতটা মুখিয়ে তারা।
২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা গেল তিন যুগের মধ্যে ইংলিশ ক্রিকেটেই সবচেয়ে বড় ঘটনা। ইংল্যান্ডের বড় কিছু পাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গোটা দেশ জুড়েই একটা উৎসবের আমেজ। রোববার (১৪ জুলাই) ফাইনালের দিন এখানে সরকারি ছুটির দিন। গোটা ইংল্যান্ডের মানুষ তাই এদিন নজর রাখবেন লর্ডসের বাইশ গজে।
ফাইনালের আগের দিন রুটিন অনুশীলন শেষে ইংলিশ অধিনায়ক জানালেন, এই উত্তাপ কতটা টের পাচ্ছেন, ‘হ্যাঁ এটা আমার জন্য এবং ড্রেসিং রুমের সবার জন্যই অনেক বড় ব্যাপার। চার বছরের নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর পরিকল্পনার ফল পাওয়ার চূড়ান্ত ধাপ এটা। বিশ্বকাপ জেতার শ্রেষ্ঠ সুযোগ আমাদের হাতের মুঠোয়।’
‘আমার মনে হয় গোটা দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে। দল হিসেবে, খেলোয়াড় হিসেবে এই সময়ে এরকম সমর্থন পেয়ে ভীষণ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ’
বিশ্বকাপে যুক্তরাজ্য অঞ্চলে সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া ‘পে চ্যানেল’ স্কাই স্পোর্টস ফাইনালের দিন খেলা ছেড়ে দিচ্ছে টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেলে। অর্থাৎ ফ্রিতে দেখা যাবে ম্যাচ। অনলাইনের নানান প্লাটফর্ম মিলিয়ে বিশ্বজুড়েই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে মুখিয়ে শত শত কোটি মানুষ।
বড় এই উপলক্ষে কেবল নিজেদের দল নয়, ক্রিকেট খেলাটারও বিজ্ঞাপন করতে চান মরগ্যান, ‘দুই দলের জন্যই বড় সুযোগ। আইসিসি খেলাটি বড় মাধ্যমে বিক্রি করেছে, দুটি শক্তিশালী দল আশা করছি সেরা ক্রিকেট খেলা উপহার দেবে। টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেল পুরো দেশে খেলা দেখাবে। অনলাইনেও নানান প্লাটফর্মে খেলা দেখা যাবে। দুর্দান্ত এই খেলাটার বিজ্ঞাপনের জন্য এটা আমাদের দুই দলের বড় সুযোগ।’
Comments