ফাইনাল খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ‘ভয়’ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড!

বিশ্বকাপের গেল আসরে কেবল একটি ম্যাচই হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেটা ছিল ফাইনাল। টানা আট জয়ের পর একপেশে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে পরাস্ত হয়েছিল তারা।
ross taylor
ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপের গেল আসরে কেবল একটি ম্যাচই হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেটা ছিল ফাইনাল। টানা আট জয়ের পর একপেশে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে পরাস্ত হয়েছিল তারা।

গোটা আসরে ওই একটা ম্যাচই নিউজিল্যান্ড খেলেছিল নিজ দেশের বাইরে। কিন্তু শিরোপার লড়াইয়ের মঞ্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে তাদেরকে জেঁকে ধরেছিল ‘ভয়’। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান রস টেইলর।

২০১৫ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল তাসমান সাগর পাড়ের দুই প্রতিবেশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিক হলেও তারা ছিল একইসঙ্গে- পুল ‘বি’তে।

দুদলের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচটা তারাই শেষ পর্যন্ত জিতেছিল। ১৫২ রান তাড়া করে অসিদের হারিয়েছিল ১ উইকেটের ব্যবধানে।

পুল ‘বি’র পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান দখলের পর কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ও শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপের ফাইনালে।

কিন্তু সে ম্যাচের ভেন্যু অস্ট্রেলিয়াতে হওয়ায় কিউই দলকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল আর নতুন একটা পরিবেশের সঙ্গে নিজেদেরকে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হয়েছিল। যে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।

টেইলর বলেন, ‘এটা একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা পুরো আসরে খুবই ভালো খেলেছিলাম। তারপর বিমানে চাপতে হলো এবং একটি দেশে খেলতে যেতে হলো যেখানে পুরো আসরে একটিবারের জন্যও আমরা খেলিনি।’

পাশাপাশি আগে কখনও ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় স্নায়ুচাপেও ভুগতে হয়েছিল তাদের। সবমিলিয়ে ‘ভয়’ পেয়ে গিয়েছিলেন তারা, ‘এটা বললে মিথ্যা বলা হবে যে, চারপাশটা বদলে যাওয়ায় আমরা কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়িনি।’

চার বছরের ব্যবধানে ফের বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। গেল আসরের মতো এবারও দলের অপরিহার্য সদস্য টেইলর। সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর দিনে ৯০ বলে ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

আগামীকাল রবিবার (১৪ জুন) ফাইনালে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে মোকাবেলা করবেন টেইলররা। এবারে অবশ্য কোনো ভয় বা শঙ্কা নেই। পুরো আসর এখানেই খেলেছেন তারা। আর গতবার ফাইনাল খেলেছেন এমন সাতজন ক্রিকেটার আছেন তাদের দলে।

ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা জানি কী প্রত্যাশা করতে হবে। আমরা জানি সেসময়ে চাপ কেমন থাকে। কারণ আমরা আগেও সেখানে গিয়েছি।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago