লাইভ আপডেট: নাটকীয় ম্যাচে বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড

নাটকীয়তা হয়তো একেই বলে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ হলো টাই। তাতে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচে সুপার ওভার দেখে বিশ্ব। মজার ব্যাপার সেই সুপার ওভারও হলো টাই। কিন্তু ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারায় ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। নাটকীয়তা এর চেয়ে কি হতে পারে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা গেল ক্রিকেটের জনকদের ঘরে
ছবি: রয়টার্স

নাটকীয়তা হয়তো একেই বলে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ হলো টাই। তাতে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচে সুপার ওভার দেখে বিশ্ব। মজার ব্যাপার সেই সুপার ওভারও হলো টাই। কিন্তু ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারায় জয় পেল ইংল্যান্ড। নাটকীয়তা এর চেয়ে বেশি কি হতে পারত? প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা গেল ক্রিকেটের জনকদের ঘরে

আসরের শুরু থেকেই কিউইদের মূল শক্তি বোলিং। ব্যাট হাতে দেখে শুনে মোটামুটি স্কোর দ্বার করিয়ে তাই নিয়ে লড়াই করে দলটি। এদিন তাই কাল হয়ে দাঁড়াল তাদের জন্য। ম্যাচে এদিন মোট ১৮টি বাউন্ডারি মেরেছিল নিউজিল্যান্ড। ইংলিশরা মোট ২৪টি বাউন্ডারি মারে। আর এ কারণেই টানা দ্বিতীয় ফাইনালে হেরে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কিউইদের।  

ভাগ্যটাও ইংলিশদের সঙ্গেই ছিল। তা না হলে ম্যাচের শেষ দিকে ৩ বলে যখন ৯ রান দরকার তখন কিনা রান নিতে গিয়ে স্টোকসের ব্যাটে লেগে বল চলে গেল মাঠের বাইরে। যেখানে ২ রান পায় দলটি, সেখানে এলো বাড়তি আরও ৪টি চার। তাছাড়া পরে ব্যাট করায় সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে এলো দলটি। যেখানে দুই সেট ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও জস বাটলার এলেন ব্যাট করতে। ফলে শুরু থেকেই ঝড় তোলা অনেকটা সহজই হয়ে যায় তাদের জন্য। হলোও তাই।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল করেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম বলেই ৩ রান নেন স্টোকস। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন জস বাটলার। পরের বলে দারুণ এক বাউন্ডারি তুলে নেন স্টোকস। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে ২ রান। শেষ বলে বাটলারের ব্যাট থেকে আসে আরও একটি বাউন্ডারি। ফলে স্কোরবোর্ডে মোট ১৫ রান যোগ করে ইংল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে আসেন অফফর্মে থাকা মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশাম। প্রথমেই ওয়াইড দেন বোলার জোফরা আর্চার। প্রথম বলে নিশামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। দ্বিতীয় বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে নেন ২ রান করে। শেষ ২ বলে দরকার ৩ রানের। পঞ্চম বলে সিঙ্গেলের বেশি আসেনি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। কিন্তু ১ রানের বেশি নিতে পারেননি গাপটিল।

সুপার ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনাল

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। ট্রেন্ট বোল্টের করা সে ওভারের প্রথম ২ বলে কোন রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে হাঁকালেন দারুণ এক ছক্কা। চতুর্থ বলে মিড উইকেটে ঠেলে নিলেন ২ রান। কিন্তু ফিল্ডারের থ্রো তার গায়ে লেগে চলে মাঠের বাইরে। ভাগ্যের সহায়তায় পেলেন আরও ৪টি রান। ম্যাচ তখন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। শেষ দুই বলে তখন দরকার ২ রানের। পঞ্চম বলে পেলেন ১ রান। সঙ্গে রানআউট হয়ে যান আদিল রশিদ। শেষ বলে দরকার ২ রান। স্টোকস হালকা পুশ করে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিশামের দারুণ থ্রো ধরে উইকেট ভাঙ্গেলন বোল্ট। ম্যাচ টাই।

চলতি বিশ্বকাপে নিয়ম করা হয়েছে নকআউট পর্বে ম্যাচ টাই হলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। আর তাতেই ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। ক্রিকেটের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে কোন ম্যাচ টাই হলো। এর আগে ১৯৮৪ সালে বিএন্ডএইচ ওয়ার্ল্ড সিরিজ ও ২০০৫ সালে নেটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনাল টাই হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ম্যাচ টাই হলো।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮ (গাপটিল ১৯, নিকোলস ৫৫, উইলিয়ামসন ৩০, টেইলর ১৫, লাথাম ৪৭, নিশাম ১৯, গ্রান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ৫*, হেনরি ৪, বোল্ট ১*; ওকস ৩/৩৭, আর্চার ১/৪২, প্লাঙ্কেট ৩/৪২, উড ১/৪৯, রশিদ ০/৩৯, স্টোকস ০/২০)।

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১ (রয় ১৭, বেয়ারস্টো ৩৬, রুট ৭, মরগান ৯, স্টোকস ৮৪, বাটলার ৫৯, ওকস ২, প্লাঙ্কেট ১০, আর্চার ০, রশিদ ০, উড ০; বোল্ট ০/৬৭, হেনরি ১/৪০, গ্রান্ডহোম ১/২৫, ফার্গুসন ৩/৫০, নিশাম ৩/৪৩, স্যান্টনার ০/১১)।

আর্চারকেও ফেরালেন নিশাম

তিন বল আগেই ফিরিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেটকে। এবার ফেরালেন জোফরা আর্চারকে। তার বলে আগ্রাসী ব্যাট চালাতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। একই ফেরাতে পারতেন বেন স্টোকসকেও। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে ঠিকভাবে ক্যাচ ধরতে পারেননি ট্রেন্ট বোল্ট। উল্টো ছক্কা হয়ে যায়।  

প্লাঙ্কেটকে ফেরালেন নিশাম

মূলত বোলার। তবে ব্যাটিংটাও খারাপ জানেন না। ইংলিশদের বিশ্বকাপ স্বপ্নে উইকেটে নেমেই ব্যাট চালাচ্ছেন দারুণ ভাবেই। বেন স্টোকসকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। নিজে করেছেন ১০ বলে ১০ রান। তবে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে জেমস নিশামের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।  

ওকসকেও ফেরালেন ফার্গুসন

দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ফিরিয়েছেন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে। নিজের প্রথম কাজটা করছেন আরও দারুণভাবে। ইংলিশ শিবিরে তোপ দাগিয়েছেন এ গতিতারকা। নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে ক্রিস ওকসকে তুলে নিয়েছেন তিনি। তার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ওকস। সে ক্যাচ সহজেই লুফে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক টম লাথাম। তাতে আবারো জমে উঠেছে ম্যাচ। ৪ বলে ২ রান করেছেন ওকস।

৪৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৬ রান। ৫৭ রানে ব্যাট করছেন স্টোকস। নপ্তুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। 

বাটলারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ফার্গুসন

অবশেষে জুটি ভাঙতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। ৮৬ রানে টপ অর্ডারের ৪ উইকেট নেওয়ার পর ১১০ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। স্টোকস দেখে খেললেও ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করছিলেন বাটলার। তবে লোকি ফার্গুসনের বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে অতিরিক্ত ফিল্ডার টিম সাউদির হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ৬০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৯ রান করেছেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

৪৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৬ রান। স্টোকস ৫১ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাত্যহে নেমেছেন ক্রিস ওকস।

স্টোকসের ফিফটি, বাটলারের সঙ্গে জুটিতে একশ

৮৬ রানেই ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান নেই। লক্ষ্যটা তখন পাহাড়সম মনে হয়েছিল। কিন্তু তখন জস বাটলারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বেন স্টোকস। গড়েন দারুণ এক জুটি। নিজে তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। আর জুটিতে এসেছে শতরান। ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দারুণ এক চার মেরে জুটির শতরান পূরণ করেন বাটলার। তিন বল পর সিঙ্গেল নিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন স্টোকস। ১২১ বলে আসে জুটির শতরান। স্টোকস ফিফটি স্পর্শ করেছেন ৮১ বলে।

৪৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৯ রান। বাটলার ৫৩ ও স্টোকস ৫০ রানে ব্যাট করছেন।

স্টোকস-বাটলার জুটিতে পঞ্চাশ

চলি বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত বিবর্ণই গিয়েছে জস বাটলারের। দেখার মতো কিছুই করতে পারেননি। তবে শিরোপা লড়াইয়ে দলের খুব প্রয়োজনীয় সময়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি। বেন স্টোকসের সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন তিনি। এরমধ্যেই তাদের জুটি পঞ্চাশ পেরিয়েছে। ৬৩ বলে এসেছে জুটির ফিফটি। তাতে স্টোকসের অবদান ২৪ ও বাটলারের ২২ রান।

৩৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস ২৯ ও বাটলার ২৩ রানে ব্যাট করছেন।   

বাটলারের ফিফটি

খুব প্রয়োজনীয় সময়ে জ্বলে উঠেছেন জস বাটলার। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হয়েও বিশ্বকাপে সে অর্থে জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে ফাইনালে মাত্র ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বেন স্টোকসের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েছেন তিনি। স্টোকস দেখে শুনে খেললেও বাটলার স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৫৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে নিজের ফিফটি স্পর্শ করেছেন এ ব্যাটসম্যান।

ইংল্যান্ডের দলীয় শতক

৮৬ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর জস বাটলারকে নিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেছেন বেন স্টোকস। দেখে শুনেই ব্যাট করছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এরমধ্যেই দল পার করেছে দলীয় শতক। ২৭.৩ ওভারে (১৬৫ বলে) এসেছে দলগত সেঞ্চুরি। প্রথম পঞ্চাশ করতে তাদের লেগেছিল ৮৩ বল। নিউজিল্যান্ড তাদের দলীয় প্রথম শতকটি করেছিল ১২৮ বলে।

৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৫ রান। স্টোকস ১৮ ও বাটলার ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

ফার্গুসনের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট মরগান

৭১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক ইয়ন মরগানের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দলটি। উইকেটে নেমে ব্যাটিংও করছিলেন দেখে শুনে। তবে জেমস নিশামের প্রথম বলে কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পয়েন্টে। তবে এ আউটে কৃতিত্ব বেশি লোকি ফার্গুসনের। বাউন্ডারি লাইন থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তিনি। ফলে ২২ বলে ৯ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইংলিশ অধিনায়ককে।

২৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮৯ রান। স্টোকস ৫ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জস বাটলার।  

বেয়ারস্টোকে ফেরালেন ফার্গুসন

ব্যক্তিগত ১৮ রানে জীবন পেয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। জীবন পেয়েই বেশ হাত খুলে ব্যাট করার চেষ্টা করছিলেন এ ওপেনার। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন কিউই পেসার লোকি ফার্গুসন। তার বলে ড্রাইভ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান বেয়ারস্টো। ৫৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেছেন এ ওপেনার। দলীয় ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংলিশরা।

২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৩ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। ৭ রানে ব্যাট করছেন মরগান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন বেন স্টোকস।  

রুটকে ফেরালেন গ্রান্ডহোম

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার খেসারৎ এদিন কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলসের মতো সেট ব্যাটসম্যানরা। সেই একই পথে হাঁটলেন দারুণ ছন্দে থাকা ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুট। কলিন ডি গ্রান্ডহোমের অফস্টাম্পের বেশ বাইরের বল খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক টম লাথামের হাতে। ৩০ বলে ৭ রান করেছেন রুট।

১৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬০ রান। ৩২ রানে ব্যাট করছেন জনি বেয়ারস্টো। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। 

ইংল্যান্ডের দলীয় ফিফটি

লক্ষ্যটা খুব বড় নয়। তাই দেখে শুনেই ব্যাট করছেন দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট। বেশ ধীর গতিতেই এগোচ্ছেন তারা। অবশ্য ম্যাট হেনরির করা ইনিংসের ১৪তম ওভারে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুটি চার মেরেছেন বেয়ারস্টো। তাতে দলীয় ফিফটি পার করে দলটি। ১৩.৫ ওভারে (৮৩ বলে) আসে প্রথম পঞ্চাশ রান। ইংল্যান্ড পঞ্চাশ স্পর্শ করতে একটি বল বেশি খেলেছিল।

১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৬ রান। বেয়ারস্টো ৩১ ও রুট ৬ রানে ব্যাট করছেন।  

বেয়ারস্টোকে জীবন দিলেন গ্রান্ডহোম

কলিন ডি গ্রান্ডহোমের করা ওভারের শেষ বলটি স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ফিরতি বল সরাসরি চলে যায় বোলারের হাতে। কিন্তু হাতে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত সে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি গ্রান্ডহোম। এ সময়ে ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন বেয়ারস্টো।

১২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৯ রান। ১৮ রানে ব্যাট করছেন বেয়ারস্টো। রুট উইকেটে আছেন ২ রানে।

রয়কে ফেরালেন হেনরি

ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরতে পারতেন জেসন রয়। ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে প্রায় পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু  রিভিউতেও আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান অল্পের জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরাতে পেরেছে কিউইরা। ম্যাট হেনরির বলটি রয়ের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক টম লাথামের হাতে। ২০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ১৭ রান করেছেন রয়।

৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৮ রান। ১০ রানে ব্যাট করছেন জনি বেয়ারস্টো। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জো রুট।

ইংল্যান্ডকে ২৪২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড

শিরোপা লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে শুরুতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ওপেনার হেনরি নিকোলসের ব্যাটে এক পর্যায়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০৩ রান। কিন্তু এরপর লিয়াম প্লাঙ্কেটের তোপে পড়ে ব্যাকফুটে চলে যায় দলটি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। সেট হয়ে সাজঘরমুখী হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টম লাথাম। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান তুলেছে কিউইরা।

সেমি-ফাইনালে ভারতলে ২৪০ রানের লক্ষ্য দিয়ে দারুণ জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১৮ রানের সে জয়টি অবশ্য এসেছিল পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে। এদিনও এমন কিছুর আশায় থাকবে দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮ (গাপটিল ১৯, নিকোলস ৫৫, উইলিয়ামসন ৩০, টেইলর ১৫, লাথাম ৪৭, নিশাম ১৯, গ্রান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ৫*, হেনরি ৪, বোল্ট ১*; ওকস ৩/৩৭, আর্চার ১/৪২, প্লাঙ্কেট ৩/৪২, উড ১/৪৯, রশিদ ০/৩৯, স্টোকস ০/২০)।

ফিরে গেলেন লাথামও

এক প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন টম লাথাম। নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফসেঞ্চুরির পথে। তবে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনিও। ক্রিস ওকসের আরও একটি স্লোয়ারের শিকার হয়েছেন তিনি। মিডঅফে ধরা পড়েছেন সেই অতিরিক্ত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের হাতে।

৪৯ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৮ রান। মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরি দুইজনই ৪ রানে ব্যাট করছেন।

ওকসের শিকার গ্রান্ডহোম

রানের গতি বাড়াতে গিয়েছিলেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। মিডঅন সীমানা দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিস ওকসের স্লোয়ার ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি। ব্যাট কিছুটা আগে চালিয়ে ফেলেন। ফলে মিডঅফে অতিরিক্ত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৮ বলে ১৬ রান করেছেন গ্রান্ডহোম।

৪৭ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২২০ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। টম লাথাম ৪৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মিচেল স্যান্টনার।

নিউজিল্যান্ডের দলীয় দ্বিশতক

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কার্যত কোন বড় জুটি গড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড। উইকেটে সেট হয়েও দলকে হতাশ করে ফিরে গেছেন ব্যাটসম্যানরা। তবে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টম লাথাম। কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করছেন তিনি। এরমধ্যেই দলীয় দ্বিশতক পূর্ণ করেছে তারা। ৪৩.৩ ওভারে (২৬১ বলে) আসে দলীয় দুইশ। প্রথম শতকটি এসেছিল ১২৮ বলে।

৪৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৪ রান। লাথাম ৩২ ও গ্রান্ডহোম ১২ রানে ব্যাট করছেন।

চাপ বাড়িয়ে ফিরে গেলেন নিশাম

১৪১ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সে চাপ আরও বাড়িয়েছেন জেমস নিশাম। উইকেটে নেমে বেশ সাবলীল ব্যাট করে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও হতাশ করেছেন তিনি। মূলত রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন তিনি। লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে মিড অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগ না হলে ধরা পড়েন জো রুটের হাতে। ২৫ বলে ১৯ রান করেছেন নিশাম।

৪০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। টম লাথাম ২৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।

টেইলরের বিদায়ে চাপে নিউজিল্যান্ড

১৫ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ে বেশ চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর দলটি তাকিয়েছিল অভিজ্ঞ রস টেইলরের দিকে। কিন্তু হতাশ করেছেন তিনি। মার্ক উডের ভেতরের দিকে রাখা বলটি ঠিকভাবে খেলতে না পারলে প্যাডে লাগে। আবেদনে সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তোলেন তিনি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি স্টাম্পের বেশ উঁচুতে ছিল। আগেই রিভিউ নষ্ট করে ফেলায় সাজঘরে ফিরে যেতে হয় টেইলরকে। ৩১ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি।

৩৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪১ রান। লাথাম ১১ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জেমস নিশাম।

ফিফটি করেই ফিরলেন নিকোলস

কলিন মানরোর ইনজুরিতে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন হেনরি নিকোলস। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ফাইনালে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। ফিফটিও তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর বেশিক্ষণ টিকলেন না এ ওপেনার। লিয়াম প্লাঙ্কেটের জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৭৭ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫৫ রান করেছেন নিকোলস।

২৭ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৮ রান। ৬ রানে ব্যাট করছেন টেইলর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন টম লাথাম।

নিকোলসের ফিফটি

মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও বেশ সাচ্ছন্দে ব্যাট করছেন হেনরি নিকোলস। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন ব্যাক্তিগত ফিফটি। যদিও কিছুটা ধীর গতিতে। তবে দলের ইনিগস গড়ে এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন। ৭১ বলে আসে তার হাফসেঞ্চুরি। তাতে ছিল ৪টি চারের মার।

২৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১১৪ রান তুলেছেন নিউজিল্যান্ড। নিকোলস ৫২ ও টেইলর ২ রানে ব্যাট করছেন।

রিভিউ নিয়ে উইলিয়ামসনকে ফেরালেন প্লাঙ্কেট

সফল এক রিভিউতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড। লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তারই খেসারৎ দিয়েছেন তিনি। উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে যাওয়ার আগে ব্যাট চুমু খেয়ে যায় বল।

আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা অবশ্য প্রথমে আউট দেননি। পরে ইংলিশদের রিভিউতে সাজঘরমুখী হন কিউই অধিনায়ক। বরাবরের মতো এদিনও ভয়ঙ্কর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরলেন তিনি। ৫৩ বলে ২টি চারের সাহায্যে এ রান করেছেন তিনি।

২৩ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৩ রান। ৪৬ রানে ব্যাট করছেন হেনরি নিকোলস। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রস টেইলর।

নিউজিল্যান্ডের দলীয় শতরান

শুরুতে কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ওপেনার হেনরি নিকোলসও ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাতে দারুণ গতিতে এগইয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ২১.২ ওভারে (২১৮ বলে) দলীয় শতরান তুলে নিয়েছে দলটি। অথচ প্রথম পঞ্চাশ রান করতে তারা বল খেলেছিল ৮২টি।

২২ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০২ রান। নিকোলস ৪৫ ও উইলিয়ামসন ৩০ রানে ব্যাট করছেন।

নিকোলস-উইলিয়ামসন জুটিতে পঞ্চাশ

চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। প্রায় সব ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গড়েছেন। একক নৈপুণ্যে দলকে জয়ও এনে দিয়েছেন। এদিনও মার্টিন গাপটিলকে হারানোর পর আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলসকে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজে নেমেছেন তিনি। এর মধ্যেই এ দুই ব্যাটসম্যান স্কোর বোর্ডে যোগ করেছেন পঞ্চাশ রান। ৭২ বলে আসে জুটির ফিফটি। অবশ্য তাতে নিকোলসের অবদানই বেশি। ৩১ রান করেছেন। আর ১৬ করেছেন উইলিয়ামসন।

২০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯১ রান। নিকোলস ৪০ ও উইলিয়ামসন ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

নিউজিল্যান্ডের দলীয় পঞ্চাশ

ভালো শুরুর পর আশা দেখিয়ে আরও একবার দলকে হতাশ করেছেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলস। দেখে শুনে ব্যাট করে কিউইদের ইনিংস মেরামত করছে এ জুটি। এর মধ্যেই দলীয় পঞ্চাশ রান পার করেছে তারা।

তবে রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারছে না দলটি। ১৩.৪ ওভারে (৮২ বলে ) এসেছে দলীয় ফিফটি। ১৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৫ রান। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ব্যাট করছেন খুবই ধীর গতিতে। ২৪ বলে করেছেন ৪ রান। ২৭ রানে ব্যাট করছেন নিকোলস।

গাপটিলকে ফেরালেন ওকস

মার্টিন গাপটিলের ব্যাটিং দুর্দশা কাটলই না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলার পর গোটা আসরে ব্যর্থ তিনি। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হলো না। ক্রিস ওকসের বল আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরলেন এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিলেন গাপটিল। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ওকসকে মারেন চার। জোফরা আর্চারের করা চতুর্থ ওভার থেকে আদায় করে নেন একটি করে ছয় ও চার। তবে সম্ভাবনাময় শুরুটা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।

দলীয় ২৯ রানে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেট তুলে নিয়ে ফাইনালে দারুণ শুরু করল ইংল্যান্ড। গাপটিলের সংগ্রহ ১৮ বলে ১৯ রান। ৭ ওভার শেষে কিউইদের স্কোর ২৯/১। ক্রিজে আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলসের সঙ্গী অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

নিউজিল্যান্ডের সাবধানী শুরু

বেশ কয়েক ম্যাচ ধরেই রান পাচ্ছেন না মার্টিন গাপটিল। রান পাচ্ছেন না আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলসও। তবে এদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুইজনই ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে বেশ সাবধানে ব্যাট করছেন। মাঝে মধ্যে বাউন্ডারিও মারছেন গাপটিল। ফলে শুরুটা খারাপ হয়নি কিউইদের।

৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৮ রান। গাপটিল ১৯ ও নিকোলস ৭ রানে ব্যাট করছেন।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নিকোলস

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফিরে যেতে পারতেন ওপেনার হেনরি নিকোলস। দারুণ ছন্দে থাকা পেসার ক্রিস ওকসের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দারুণ এক রিভিউতে বেঁচে যান তিনি। ওকসের মিডল স্টাম্পে রাখা বলটি সামান্য উঁচুতে থাকায় বেঁচে যান তিনি।

৩ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০ রান। গাপটিল ৬ ও নিকোলস ২ রানে ব্যাট করছেন।

পরিবর্তন নেই নিউজিল্যান্ড দলেও

উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গেনি নিউজিল্যান্ডও। ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলা দলটির সব সদস্যই ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশদের মতো তাদের দলেও পাঁচ পেসারের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে থাকছেন মিচেল স্যান্টনার।

নিউজিল্যান্ড: হেনরি নিকোলস, মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর, টম লাথাম, জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, লোকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি।

অপরিবর্তিত ইংল্যান্ড দল

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কোন পরিবর্তন আসেনি ইংল্যান্ড দল। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেছে তারা। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের খেলা একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে দলটি। পাঁচ পেসারের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে থাকছেন আদিল রশিদ।

ইংল্যান্ড: জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, জস বাটলার, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাঙ্কেট ও মার্ক উড।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড

থেমেছে বৃষ্টি। যদিও আকাশ কিছুটা মেঘলা। তবে এর মধ্যেই হয়ে গেছে টস। শুরুতে ভাগ্যটা কিউইদের সঙ্গেই গিয়েছে। টস জিতে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সকালের বৃষ্টি ও উইকেটে প্রচুর ঘাস থাকা সত্ত্বেও ব্যাটিংই বেছে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে ৪টায়।

বৃষ্টির কারণে ১৫ মিনিট পিছিয়েছে টস

লর্ডসে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের জন্য অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু এর আগে বৃষ্টি কিছুটা বাগড়া বাজিয়েছে। মূলত সকাল থেকেই হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। তাই নির্ধারিত সময়ে টস অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পিছিয়েছে ১৫ মিনিট। বাংলাদেশ সময় ৩টা ১৫ মিনিটে হবে টস। তাই ম্যাচও পিছিয়েছে ১৫ মিনিট। বিকাল পৌনে চারটায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচটির।

হালকা বৃষ্টি বাগড়া দিলেও মাঠের আউটফিল্ড বেশ ভালো। তাই বৃষ্টি শেষ হলে ম্যাচ শুরু হতে তেমন সমস্যা হবে না।

পরিসংখ্যানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ দারুণ ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয়ও পেয়েছে দলটি। তবে পরিসংখ্যানে এগিয়ে কিউইরাই। মোট ৯০টি ম্যাচের মধ্যে ৪৩টি জিতেছে তারা। ইংল্যান্ড জিতেছে ৪১টি ম্যাচে। বাকী ৬টির ২টি টাই ও ৪টি পরিত্যক্ত। এমনকি বিশ্বকাপের মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। মোট ৯টি ম্যাচের ৫টিতে জিতেছে তারা। বাকী চারটি ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা।

নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে ক্রিকেট

এর আগে তিন তিনবার (১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২) ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ড। তবে শিরোপা স্পর্শ করতে পারেনি। আর সাতবার সেমি-ফাইনালে উঠে ফাইনালে (২০১৫) একবারই খেলেছে নিউজিল্যান্ড। তাদেরও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার সেই দুই দলই ফাইনালে। ফলে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। ২৩ বছর পর। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার পর অস্ট্রেলিয়া চারবার এবং ভারত একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

যেভাবে ফাইনাল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড

উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানে হারিয়ে দাপটের সঙ্গে আসর শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে পরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যান ইয়ন মরগানরা। তাদেরকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছিল অবশ্য শ্রীলঙ্কা। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ২৩২ রান তাড়ায় ইংলিশরা হেরেছিল ২০ রানে। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছেও হেরে যাওয়ায় তাদের সেমিফাইনালে ওঠাটা পড়েছিল হুমকির মুখে।

তবে শেষ দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে লিগ পর্বে তৃতীয় হয়ে শেষ চারে নাম লেখায় তারা। আসরে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা সেখানেই দেখায় দলটি। গেলবারের চ্যাম্পিয়ন অসিদের ২২৩ রানে বেঁধে ফেলে ম্যাচ জিতে নেয় ৮ উইকেটে। ২৭ বছর পর তারা পা রাখে ফাইনালে।

নিউজিল্যান্ডও আসর শুরু করেছিল দুর্দান্তভাবে। প্রথম ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জেতে তারা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা ভেসে যায় বৃষ্টিতে। এরপর ছন্দপতন। টানা তিনটি হার যথাক্রমে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কাছে। তবে কাজের কাজটা কেন উইলিয়ামসনরা আগেই সেরে রেখেছিলেন। পয়েন্ট জমা করে রাখার সঙ্গে সঙ্গে রান রেটটাও বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। ফলে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সেমির টিকিট পান তারাই।

ইংল্যান্ডের মতো নিউজিল্যান্ডও নিজেদের সেরাটা উপহার দেয় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। রিজার্ভ ডেতে গড়ানো ম্যাচে মাঝারি স্কোর নিয়ে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স দেখায় তারা। বোলারদের নৈপুণ্যে টপ ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে দেয় ১৮ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

41m ago