অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি চলাচল বন্ধের আশঙ্কা
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ড্রেজারের পাইপ ফেলে রাখায় ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় ফেরির সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষ ঘটে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন ম্যানেজার একেএম শাহজাহান জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে বেশ কিছুদিন ধরে নাব্যতা সংকট চলছে। এতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বিষয়টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) জানালে তারা চ্যানেলের ওই পয়েন্টে নদী খননের জন্য ড্রেজার স্থাপন করে। কিন্তু ড্রেজারের পাইপগুলো নদীতে যেভাবে ভাসমান অবস্থায় রাখা হয়েছে, তাতে নৌপথ সরু হয়ে গেছে। এখান দিয়ে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুটি ফেরি পাশাপাশি একে অপরকে অতিক্রম করতে পারছে না। ফলে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে বেশি। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ-কে জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, চ্যানেলে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজারে পাইপ রাখায় চ্যানেলটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পদ্মার স্রোতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ফেরিগুলো নদীতে স্থির থাকতে পারছে না। চলাচলের সরু ওই জায়গাটিতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে জানমাল রক্ষায় ফেরি চলাচল যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব আমরা।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন) এসএম আজগর আলী বলেন, ড্রেজারের পাইপগুলো নদীতে যথাযথভাবেই স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতে পাইপের জয়েন্ট খুলে ও নোঙর উঠে গিয়ে পাইপগুলো নদীতে ছড়িয়ে পড়ায় নৌরুট সরু হয়ে গেছে। এগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Comments