ফাইনালে দুর্বল আম্পায়ারিং, তিন ভুল সিদ্ধান্ত
বিশ্বকাপের ফাইনাল। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সীমাহীন আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আম্পায়ারিংটা সেই মানের হচ্ছে কই! মাঠের দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও মারাইস এরাসমাস মিলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই দিয়েছেন তিন-তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত! দুটি অবশ্য রিভিউ নিয়ে পাল্টানো গেছে। কিন্তু রস টেইলর দুর্ভাগা। দুর্বল আম্পায়ারিংয়ের কারণে নিজের উইকেটটা খোয়াতে হয়েছে এই কিউই ব্যাটসম্যানকে।
রবিবার (১৪ জুলাই) লর্ডসে ফাইনালে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ধর্মসেনা ও এরাসমাস। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সেমিফাইনালেও তারা ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। সে ম্যাচে ধর্মসেনা জেসন রয়ের বিপক্ষে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। আর রিভিউ না থাকায় ইংল্যান্ডের ওপেনারকে ফিরতে হয়েছিল সাজঘরে। এদিনও তিনি ভুল করেছেন দুবার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের ডেলিভারি ওপেনার হেনরি নিকোলসের প্যাডে লাগলে আঙুল উঁচিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত জানান শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার ধর্মসেনা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে না পেরে রিভিউ নেন নিকোলস। পরে বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। জীবন পান নিকোলস।
কিউইদের জমে ওঠা দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙতে ২৩তম ওভারে ইংলিশ দলনেতা ইয়ন মরগান আক্রমণে আনেন লিয়াম প্লাঙ্কেটকে। বর্ষীয়ান পেসারের দ্বিতীয় স্পেলের চতুর্থ বলেই বাজিমাত! সাজঘরে ফেরেন গোটা আসরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে ভরসা দিয়ে আসা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু তার আগেও কম নাটক হয়নি!
উইকেটের পেছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামসন। কিন্তু বল যে ব্যাট ছুঁয়েছে, তা বুঝতেই পারেননি ধর্মসেনা! ফল- আবারও ভুল সিদ্ধান্ত। প্রথমে আউট দেননি তিনি। পরে রিভিউ নিয়ে উল্লাসে মাতেন মরগানরা।
উইলিয়ামসন-নিকোলসের বিদায়ের পর নিউজিল্যান্ডের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব পড়ে অভিজ্ঞ রস টেইলরের কাঁধে। কিন্তু ৩৪তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার এরাসমাসের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হন তিনি। মার্ক উডের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে শেষ হওয়া ইনিংসটায় অবশ্য স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না টেইলর। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে!
কিন্তু আগের দুটি ভুলের মতো এটা শুধরে নেওয়ার উপায় ছিল না। কারণ ততক্ষণে রিভিউ শেষ নিউজিল্যান্ডের। আগেই সেটা নষ্ট করে গিয়েছিলেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। সেটা জানা থাকাতেই কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা সাজঘরের পথে হাঁটা দেন টেইলর। তার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে ২৪১ রান তুলে থামতে হয় কিউইদের।
Comments