‘স্টোকস অনেকটা সুপার হিউম্যান’
জস বাটলার বল ধরে মার্টিন গাপটিলকে রান আউট করার পরই মাঠে শুয়ে পড়লেন বেন স্টোকস। ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারও টাই। কিন্তু বাউন্ডারি বেশি মেরে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এমন মুহূর্তে স্টোকস আবেগে থরথর না হয়ে পারেন! তিন বছর আগে কলকাতা ইডেন গার্ডেনেও মাঠে শুয়ে পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে সেবার হতাশায় পারলে মাটির ভেতর ঢুকে যান। আর এবার তাকে কাঁধে তুলে কত উঁচুতে নিয়ে নাচবে বুঝে পাচ্ছে না গোটা ইংল্যান্ড।
২৪২ রান তাড়ায় ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানো অবস্থায় বাটলারের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটির পর দলকে একাই টানেন স্টোকস। হারতে থাকা অবস্থা থেকে ম্যাচ করেন টাই। ৯৮ বলে করেন ৮৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। পরে সুপার ওভারও টাই হলে বাউন্ডারি বেশি মারায় বিশ্বকাপ জিতে ইংল্যান্ড।
অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান তো বিশ্বকাপ জেতানো এই তারকাকে আখ্যা দিলেন অতিমানব হিসেবে, ‘যেভাবে সে খেলা আনলতা অভূতপূর্ব। সে আসলে অনেকটা অতিমানব। সে একাই আমাদের ব্যাটিং টেনে নিয়েছে। আমি জানি জসের সঙ্গে ওর জুটি ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু লোয়ার অর্ডার নিয়ে সে যা করেছে তা অবিশ্বাস্য।’
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টানা চার ছক্কা খেয়ে খলনায়ক বনেছিলেন স্টোকস। লর্ডসে আসল বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনিই হলেন মূল নায়ক। তা এমনই নায়ক যে এখন কিশোর তরুণদের রোল মডেল হিসেবে স্টোকসেই দেখছেন ইংল্যান্ডকে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক মরগ্যান, ‘পুরো আবহ ছিল চাপের, আবেগ ছিল পুরো খেলায়। সে সব সামলে ভীষণ অভিজ্ঞ মেজাজে খেলেছে। আমার মনে হয় তরুণ যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখেছে সবাই পরবর্তী বেন স্টোকস হতে চাইবে। (হাসি)।’
Comments