অথচ স্টোকসের জন্ম, বেড়ে উঠা নিউজিল্যান্ডে

Ben stokes

বলতে গেলে প্রায় একাই নিউজিল্যান্ডকে হটিয়ে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ পাইয়ে দিয়েছেন বেন স্টোকস। অথচ ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের জয়ের এই নায়ক এমন নৈপুণ্য দেখালেন নিজের জন্মভূমির বিপক্ষে। বেন স্টোকসের জন্ম আর শৈশব কেটেছে নিউজিল্যান্ডেই।

রোববার লর্ডসে বেন স্টোকস যা করেছেন, তা যেকোনো অসুস্থ মানুষকেও ফুরফুরে করে ফেলার মতো। কঠিন উইকেটে খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে রোমাঞ্চ জাগিয়েছেন, ম্যাচ হয়েছে টাই। সুপার ওভারও টাই হওয়ায় বাউন্ডারিতে এগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা।

সুপার ওভারে বিশ্বকাপ জেতার পর ইংল্যান্ডের এই মুহূর্তের জাতীয় হিরোর পেছনের গল্প আবার সামনে এসেছে। স্টোকসের বাবা জেরার্ড জেদ জেমস স্টোকস ছিলেন নিউজিল্যান্ড রাগবী দলের খেলোয়াড়। ১৯৮০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি নিউজিল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।  ক্রাইস্টচার্চে জন্ম নিয়ে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত স্টোকসও ছিলেন নিউজিল্যান্ডে। পরে বাবা-মার সঙ্গেই চলে আসেন যুক্তরাজ্যে। এখানেই ক্লাব পর্যায়ে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও শুরু।

২০১৩ সালে স্টোকসের বাবা-মা নিউজিল্যান্ড ফিরে গেলেও স্টোকস হয়ে যান ব্রিটিশ। ভীষণ কঠিন উইকেটে ২৪২ রান তাড়ায় ৯৮ বলে করেন ৮৬ রান। অনুমিতভাবেই হন ম্যাচ সেরা।

তবে এত দূর কি আসা হতো স্টোকসের। ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল। সেদিন কলকাতা ইডেন গার্ডেনেই তো ক্যারিয়ারের ইতি হয়ে যেতে পারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ বলে চাই ১৯। স্টোকস কিনা সেদিন কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের হাতে প্রথম ৪ বলেই খেলেন ৪ ছক্কা।

কিন্তু অমন মার খাওয়ার, ম্যাচ খুইয়ে দেওয়ার ট্রমা বেশিদিন থাকেনি। ইংলিশ অধিনায়কের ধারণা তার জায়গায় অন্য কেউ হলে থেমে যেতে পারত ক্যারিয়ার, স্টোকস বিশেষ কেউ বলেই ফিরে এসেছেন এবং বিশ্বজয় করেছেন,  ‘বেনের কথা অনেকবারই আমি বলছি। সেদিন কলকাতায় যা হয়েছিল ওখানে অন্য কেউ থাকলে ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেত। আমরা জানিয় অনেকবারই সে আমাদের একা টেনেছে। ও অবিশ্বাস্য এক ক্রিকেটার। এমন খেলার জন্য আমি ধন্যবাদ দিতে চাই তাকে।’

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women defend SAFF title with 2-1 win against Nepal

Bangladesh retained the title of SAFF Women's Championship with a 2-1 win against Nepal in an entertaining final at the Dasharath Stadium in Kathmandu today. 

11m ago