ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ফাইনালের হাইলাইটস
নাটকীয়তা হয়তো একেই বলে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ হলো টাই। তাতে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচে সুপার ওভার দেখল বিশ্ব। মজার ব্যাপার, সেই সুপার ওভারও হলো টাই। কিন্তু ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারায় বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। নাটকীয়তা এর চেয়ে বেশি কি হতে পারত? প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা গেল ক্রিকেটের জনকদের ঘরে।
রবিবার (১৪ জুলাই) লর্ডসে ভাগ্যটাও ইংলিশদের সঙ্গেই ছিল। তা না হলে ম্যাচের শেষ দিকে ৩ বলে যখন ৯ রান দরকার তখন কিনা রান নিতে গিয়ে স্টোকসের ব্যাটে লেগে বল চলে গেল মাঠের বাইরে। যেখানে ২ রান পায় দলটি, সেখানে এলো বাড়তি আরও ৪টি চার। তাছাড়া পরে ব্যাট করায় সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে এলো দলটি। যেখানে দুই সেট ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও জস বাটলার এলেন ব্যাট করতে। ফলে শুরু থেকেই ঝড় তোলা অনেকটা সহজই হয়ে যায় তাদের জন্য। হলোও তাই।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল করেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম বলেই ৩ রান নেন স্টোকস। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন জস বাটলার। পরের বলে দারুণ এক বাউন্ডারি তুলে নেন স্টোকস। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে ২ রান। শেষ বলে বাটলারের ব্যাট থেকে আসে আরও একটি বাউন্ডারি। ফলে স্কোরবোর্ডে মোট ১৫ রান যোগ করে ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে আসেন অফফর্মে থাকা মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশাম। প্রথমেই ওয়াইড দেন বোলার জোফরা আর্চার। প্রথম বলে নিশামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। দ্বিতীয় বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে নেন ২ রান করে। শেষ ২ বলে দরকার ৩ রানের। পঞ্চম বলে সিঙ্গেলের বেশি আসেনি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। কিন্তু ১ রানের বেশি নিতে পারেননি গাপটিল।
Comments