অপরিকল্পিত অবকাঠামো ও শিল্পায়ন আর নয়: প্রধানমন্ত্রী
নগর ও গ্রামীণ এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন থেকে শুধু টাকা থাকলেই যেখানে সেখানে ভবন নির্মাণ ও কারখানা স্থাপন করা যাবে না।
তিনি বলেন, “আমরা কাউকে এটা করতে দেবো না। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিসিক শিল্প এলাকা গড়ে তুলেছিলেন, তার সম্প্রসারণ করা হবে। আমরা পরিকল্পিতভাবে শিল্পায়ন করতে চাই। স্কুল, কলেজসহ সমস্ত কিছু একটি পরিকল্পনামতো হতে হবে।”
রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় আজ সোমবার মন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও গ্রেড-১ এর সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভবন নির্মাণের সময় দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিষয়টি মাথায় রেখে স্থপতিদের নকশা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মেগা শহর, জেলা ও উপজেলাকে সরকার পরিকল্পনার মধ্যে আনতে চায় এবং সে অনুসারেই কাজ করা হবে।
আবাসন সুযোগ-সুবিধার সাথে শস্যভূমি, খেলার মাঠ ও বিনোদনের স্থান থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি গ্রামকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন করে তৈরি করতে হবে। আমাদের সবকিছুই পরিকল্পনা মোতাবেক করতে হবে।
দেশের উন্নয়নে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এই একটা কারণেই দিচ্ছি; তা হলো দেশের উন্নয়ন। ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যাতে করে তারা গাড়িও কিনতে পারবে। তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।
বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত থাকার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের জন্য মিরপুরে ৫৩৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে সরকার। বিভিন্ন স্থানে সব মিলিয়ে তাদের জন্য ১৬ হাজার ৫০০টিরও বেশি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
“আমরা ভাড়ার ভিত্তিতে তাদেরকে ফ্ল্যাট দেবো। দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে থাকতে পারবে তারা। কিন্তু ভাড়া দিতেই হবে,” যোগ করেন তিনি।
জলাধার ও পুকুর সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুকুর ভরাট করা যাবে না। আগে ঢাকা শহরে অনেক পুকুর ছিল, কিন্তু সেগুলো ভরাট করা হয়েছে… এটা কোনোভাবেই করা যাবে না।”
Comments