টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
কক্সবাজারে ইয়াবার চালান আনতে গিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চাঁদপুর ও যশোরের দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমোড়া সংলগ্ন শিকলগাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলবের চরমুকুন্দী এলাকার মো. রেজোয়ান সওদাগরের ছেলে মো. আসমাউল সওদাগর (৩৫) এবং যশোর জেলার কোতোয়ালি বসুন্দিয়া এলাকার (বর্তমান ঠিকানা ফতুল্লা থানার নারায়ণগঞ্জ) মো. জব্বার আলীর ছেলে মো. জাবেদ মিয়া (৩৪)।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খান জানান, বিজিবি গোপন সূত্রে জানতে পারে যে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পার হয়ে একটি ইয়াবার বড় চালান ওই স্থান হতে প্রবেশ করবে। এ সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি বিশেষ দল সেখানে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন লোক নাফ নদী সংলগ্ন খালে প্রবেশ করলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করা মাত্র বিজিবির ওপর আকস্মিক গুলিবর্ষণ হতে থাকে। বিজিবিও কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ৫-৬ মিনিট গুলি বিনিময় হওয়ার পরে অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থল তল্লাাশি করে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের শরীরে রক্ষিত অবস্থায় ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। একই স্থানে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরিচয়পত্র দেখে তাদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজিবির নায়েক মো. রেজাউল করিম, সিপাহী মো. ইমরান হোসেন ও সিপাহী মতিউর রহমান। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সুস্থ আছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Comments