ফাইনালে হারালেন যিনি, তিনিই পেলেন বর্ষসেরা নাগরিকের মনোনয়ন!
বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। তিনি জন্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডেরও নাগরিক। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে কিউইদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিলেও ‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ বা নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা নাগরিক পুরস্কারের জন্য তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে!
১৯৯১ সালে স্টোকসের জন্ম হয়েছিল ক্রাইস্টচার্চে। এরপর তিনি পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। তার বাবা-মা ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডে ফিরে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেও স্টোকস ক্রিকেট খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়েই। ইংলিশ ভূমিতে এরই মধ্যে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৬টি বছরও।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের আসরটা দুর্দান্ত কেটেছে স্টোকসের। ৬৬.৪২ গড়ে ৪৬৫ রান করার পাশাপাশি নিয়েছিলেন ৭টি উইকেট। আর নিজের সেরাটা তিনি জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। ইংল্যান্ডকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ দেওয়ার পথে জন্মভূমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৮৪ রান। বিশ্বকাপে এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সের কারণেই তিনি পেয়েছেন বর্ষসেরার মনোনয়ন।
বর্ষসেরা নাগরিক বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা প্রধান বিচারক ক্যামেরন বেনেট শুক্রবার (১৯ জুলাই) স্থানীয় গণমাধ্যম স্টাফকে জানান, ‘তিনি হয়তো ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে খেলেননি, কিন্তু জন্ম নিয়েছিলেন ক্রাইস্টচার্চে যেখানে তার বাবা-মা এখন থাকছেন আর তার পূর্বপুরুষরা ছিল মাওরি (নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী)। তাই অনেক কিউই মনে করেন, আমরা এখনও তাকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারি।’
স্টোকসের পাশাপাশি মনোনয়ন পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ও ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় কেন উইলিয়ামসন। বাকিদের মধ্যে সাবেক রাগবি খেলোয়াড় মানু ভাতুভেই, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা প্রতিরোধ করে নায়ক বনে যাওয়া আব্দুল আজিজ ও হেপাটাইটিস সি চিকিৎসার পথপ্রদর্শক অধ্যাপক এড গ্যানের নাম উল্লেখযোগ্য।
১৫ বছরের ঊর্ধ্বে নিউজিল্যান্ডের যে কোনো নাগরিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হতে পারেন। আগামী ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হবে ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। এরপর আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া হবে বর্ষসেরার পুরস্কার।
Comments