ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ফটকের সামনে গতকাল রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক উপসম্পাদক মেশকাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা জানান, প্যান্টের পকেটে লোড করা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরছিলেন মেশকাত। সঙ্গে ছিলেন তার কয়েকজন বন্ধু। অসাবধানতায় ট্রিগারে হঠাৎ চাপ লেগে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান।
আহত মেশকাত সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “দলীয় কর্মসূচি শেষে হলে ফিরছিলাম। হল গেইটে এসে দেখি কীসের যেনো হট্টগোল। ভিড় ঠেলে দেখলাম মেশকাতকে ধরাধরি করে কয়েকজন নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তার পা থেকে রক্ত ঝরছিলো। পরে আমি অন্যদের সহযোগিতায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
গুলি লাগার কারণ জানতে পেরেছেন কী-না? এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেশকাতকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে কিছুই বলেনি। বিষয়টি নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলছেন। তাই কোনোটাই নিশ্চিত হতে পারিনি। মেশকাত সুস্থ হলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারবো।”
এ ব্যাপারে হল সংসদের করণীয় কী? জানতে চাইলে মারিয়াম জামান বলেন, “রাতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। আজ হল সংসদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হল কর্তৃপক্ষ বসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে যে ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আমরা সেভাবেই এগুবো।”
“এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। আমি চাই তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসুক এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক”, যোগ করেন তিনি।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সামনে এক শিক্ষার্থীর ডান পায়ের উরুতে গুলি লাগে। তারপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানকার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গুলির লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ৫৭২ নম্বর কক্ষ ভেঙে চুরির ঘটনায় মেশকাত হোসেনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Comments