বান্দরবান ও সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের ২ নেতাকে গুলি করে হত্যা
বান্দরবান ও সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বান্দরবানে নিহত মং মং থৈ মারমা (৫০) রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, আজ (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে একটার দিকে দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে রোয়াংছড়ির শামুকঝিরি নামক স্থানে মং মং থৈ মারমার ওপর এই হামলা হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে নিহতের মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
মং মং থৈ মারমাকে বহনকারী মোটরসাইকেলে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাশেমপুর হাজামপাড়া নামক স্থান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নজরুল ইসলাম আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামে মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, নজরুল কদমতলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পিছন থেকে অপর একটি মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে জানালেও হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি পুলিশ সুপার।
নিহত নজরুলের ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য তৌহিদুলের সঙ্গে তার বাবার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে তার বাবাকে হত্যা করতে পারে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে নজরুলের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের পর থেকে নজরুল ইসলামের পরিবারের ওপর এ পর্যন্ত নয়বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব হামলায় তার ভাই সিরাজুল ইসলাম ও ভাইপো যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন।
Comments