আফগানদের বিপক্ষে বেহাল দশা ‘এ’ দলের

শক্তিতে এগিয়ে, অভিজ্ঞতায় পোক্ত, খেলা হচ্ছে ঘরের মাঠে। কিন্তু তার রেশ কোথায়? বাংলাদেশ-এ দল যে চেনা কন্ডিশনেই খাবি খাচ্ছে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে। ‘আনকোরা’ আফগানদের কাছে আনঅফিসিয়াল টেস্ট সিরিজে হারার পর আন অফিসিয়াল ওয়ানডের প্রথম দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।

প্রথম আন অফিসিয়াল টেস্টে আফগানিস্তানের কাছে ‘এ’ দল হারে ৭ উইকেটে। পরেরটি শেষ হয় অমিমাংসিতভাবে।

প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে উড়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও পেরে উঠেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লড়াই জমিয়ে হেরেছে ৪ উইকেটে। অথচ এই দলে ছিলেন মাত্রই বিশ্বকাপ খেলে আসা সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, আবু জায়েদ রাহিরা। ছিলেন ইমরুল কায়েস, শফিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, এনামুল হক বিজয়দের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরীক্ষিত পারফর্মাররা।

অথচ আফগানিস্তানের এই দলে বেশিরভাগেরই নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা। কেন এমন অবস্থা ‘এ’ দলের বুঝে পাচ্ছেন না নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও। একটি জাতীয় দৈনিককে সাবেক এই অধিনায়ক উদ্বেগের সুরে বলেন, 'আফগানিস্তানের এই দলকে ভিন্ন ধারার ক্রিকেট খেলেছে, যেটা সাধারণত তারা খেলে না। যা আমাদের অবাক করেছে। তারা মূল দল কেবল মেরে খেলে। কিন্তু এরা এমন নয়। তারা ধৈর্য দেখিয়েছে, তেড়েফুঁড়ে মারেনি। বড় শট খেলেছে কিন্তু ক্রিকেটীয় কায়দায় খেলেছে। শফিউল, রাহিদের মতো অভিজ্ঞ পেসারদের বিপক্ষে ৮ ওভারে ৮৬ রান নিয়ে নিয়েছে (রোববারের ম্যাচে) ক্রিকেটীয় শট খেলে।’

'এটা অবশ্যই মর্যাদার লড়াই, সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তারও, তাই না? আমাদের ব্যাটসম্যান যারা খেলছে সবারই ১৫০, ২০০টা করে প্রথম শ্রেণীর ইনিংসে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছে জাতীয় দলের ঠিক পরের ধাপেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো করেছে তাদেরই নেওয়া হয়েছে এ দলে। এই পর্যায়ে যদি তারা ভালো না করে তাহলে পরের ধাপে কীভাবে ভাল করবে?'

রোববারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল করে ২৭৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন মিঠুন, ইমরুল করেন ৪০। ৫ বল আগে ওই রান তাড়া করে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

সিরিজের বাকি আছে আরও তিন ম্যাচ। তবে ‘এ’ দলের জন্য বিপাকের ব্যাপার হলো বাকি তিন ম্যাচে তারা পাচ্ছে না এনামুল, মিঠুন, সাব্বির, ফরহাদ রেজাদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে মূল জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় তারা আর থাকছেন না ‘এ’ দলে।

২৪ জুলাই চট্টগ্রামে হবে দুদলের তৃতীয় ওয়ানডে, ২৭ ও ২৯ জুলাই বাকি দুই ম্যাচ বিকেএসপিতে। সিরিজ জিততে হলে ‘এ’ দল বাকি তিন ম্যাচই জিততে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago