ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন রোনালদো
ধর্ষণের অভিযোগে বেশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যেই পড়েছিলেন হালের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। অবশেষে সে অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলেছে তার। সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ার কারণে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের নতুন তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেই এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন লাস ভেগাসের প্রসিকিউটররা। নিশ্চিত হতে পেরেছেন মায়োরগার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় না। তাই কোনও ধরনের অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হচ্ছে না রোনালদোর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া অবশ্য দুই পক্ষের আইনজীবীই নিশ্চুপ রয়েছেন। তবে রোনালদোর আইনজীবী পিটার ক্রিস্তিয়ানসেন শুধু বলেছেন, রোনালদো ও মায়োরগার মাঝে যা হয়েছিল তা দুপক্ষের সম্মতিতেই হয়েছিল।
রোনালদোর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ
ঘটনাটি ২০০৯ সালের ১২ জুনে। মায়োগরা জানিয়েছেন, এক নৈশ ক্লাবে দেখা হওয়ার আলাপের পর নাম্বার বদল হয় দুই জনের। পর দিন রাতে মায়োরগাকে পামস ক্যাসিনো রিসোর্টে নিমন্ত্রণ জানান রোনালদো। সেখানেই তাকে যৌন হয়রানির পর একপর্যায়ে ধর্ষণ করেন এ পর্তুগিজ তারকা। ধর্ষণের পর অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন রোনালদো।পরদিনই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মায়োরগা। পরে তার আইনজীবী ও রোনালদোর মধ্যে সমঝোতা হয়। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেন রোনালদো।
তবে এ তথ্য কখনো প্রকাশ করা যাবে না এমনই চুক্তি হয়েছিল দুই জনের মধ্যে। তবে গত বছর হ্যাশট্যাগ ‘মি টু’আন্দোলনে নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মায়োরগা। এ নিয়ে ‘ডার স্পেইগেল গত বছরই সংবাদ প্রকাশ করেছিল। তবে মায়োরগার অনুমতি না মেলায় এ নিয়ে বেশি দূর এগোয়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে এবার ফলাও করে ছাপানো হয়েছে সে ঘটনা।
কে এই ক্যাথরিন মায়োরগা?
৩৪ বছর বয়সী ক্যাথরিন মায়োরগা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল। ২০০৯ সালে ‘রেইন’নাইটক্লাবে একজন প্রোমোটার হিসেবে কাজ করতেন কালো চুল ও সবুজ চোখের এ সুন্দরী। লা ভেগাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে যাওয়ার পর রোনালদোর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে অবশ্য সে চাকুরী বাদ দিয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সম্প্রতি সে চাকুরীও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
Comments