লালমনিরহাটে দ্বিতীয় দফা বন্যায় পরিস্থিতি ভয়াবহ
প্রথম দফায় ১০ দিনের বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপাকে পড়েছেন লালমনিরহাটের লক্ষাধিক মানুষ।
প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফা বন্যায় আরো বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বানের পানিতে আবারো তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, ফসলি জমি। ভেসে গেছে হাঁস-মুরগি এমনকী গরু-ছাগলসহ আসবাবপত্রও।
আজ (২৫ জুলাই) লালমনিরহাটে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার এবং হাতীবান্ধায় দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ছোট-ছোট ১০টি নদীর পানিও।
অনবরত প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রধান দুই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বজলে করিম।
তিস্তা পাড়ের চেয়ে ধরলা পাড়ের বন্যা পরিস্থিতি আরো বেশি ভয়াবহ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় তিন-চারদিন আগে বানভাসিরা নিজেদের বাড়িতে উঠেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন অনেকেই। আর এর মধ্যেই ধেয়ে আসে দ্বিতীয় দফা বন্যা।
গতকাল বিকাল থেকে বাড়িঘর ছেড়ে বানভাসিদের অনেককে আবারো সরকারি রাস্তা ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
আবারো তারা পড়েছেন অমানবিক কষ্টে। নেই খাবার, নেই পানি। আবার অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যন্ত্রণায় ভুগছেন। বানভাসিরা বলছেন, দ্বিতীয় দফার বন্যাটি প্রথম দফার চেয়ে বেশি ভয়াবহ।
বন্যার পানিতে বাড়িতে আটকা পড়া অনেককে প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় রাতভর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসেন। দুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষজনকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কালমাটি থেকে তিস্তার পানিতে ভেসে আসা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
এস দিলীপ রায়, দ্য ডেইলি স্টারের লালমনিরহাট সংবাদদাতা
Comments