আমরা এখনো লড়াইয়ে আছি: তামিম
এই প্রথম ওয়ানডে সংস্করণে দেশকে নেতৃত্ব দিতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু দিনটি বোধহয় তিনি ভুলেই যেতে চাইবেন। দল হেরেছে বড় ব্যবধানে। লাসিথ মালিঙ্গার ইয়র্করে ভূপাতিত হয়ে নিজে ফিরেছেন শূন্য রানে। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এমন খারাপ সময়েও হাল ছাড়তে রাজী নন, বাকি দুই ম্যাচেই দেখছেন ভিন্ন কিছুর আশা।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ফিল্ডিং করতে গিয়ে এলোমেলো শুরু পায় বাংলাদেশ। বাজে ফিল্ডিং, আলগা বোলিং, ক্যাচ মিস মিলিয়ে বড়ই বিবর্ণ ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৩০ ওভারের সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ালেও লঙ্কানরা করে ফেলে ৩১৪ রান।
৩১৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ব্যাটিংয়ে আরও বেহাল দশা। মালিঙ্গার তোপে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তামিমের দল। মুশফিকুর রহিম আর সাব্বির রহমান পরে লড়াই করলেও দলকে জেতার কাছেও নিতে পারেননি।
২২৩ রানে গুটিয়ে তাই বাংলাদেশ হেরেছে ৯১ রান। ইনিংসের পঞ্চম বলে মালিঙ্গার বলে তামিমের বোল্ড হওয়াতেই শুরু দুর্দশার। বিশাল হারের পর অধিনায়ক নিজেই নিয়েছেন দায়, 'হ্যাঁ আমি কিছুটা ধুঁকছিলাম। যখন আমি অধিনায়ক, আমাকে ভাল খেলতে হবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
প্রথম ৩০ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৮ করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। পরের ২০ ওভারে দারুণ বল করায় তারা তুলতে পারে আর ১১৬ রান। খারাপের মধ্যে এই ঘুরে দাঁড়ানোকে ইতিবাচক দেখছেন তামিম, ‘একটা সময় মনে হচ্ছিল ওরা ৩৫০-৩৬০ করে ফেলবে কিন্তু আমরা নিজেদের সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে প্রথমটিই হেরে যাওয়ায় পরের ম্যাচটাই বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার। হারলেই সিরিজ শেষ। এমন পরিস্থিতি থেকেও এই দলের উপর ভরসা রেখেই ঘুরে দাঁড়াতে চান অধিনায়ক, ‘আরও দুই খেলা বাকি, আশা করছি আরও ভাল করতে পারব। যে স্কোয়াড নিয়ে খেলছি তাদের নিয়ে আমি খুশি। তাদের উপর ভরসা করতে হবে। তাদের সামর্থ্য আছে। কেবল দায়িত্ব নিতে হবে। আশার কথা হলো আমরা এখনো লড়াইয়ে আছি।'
Comments