ফিল্ডিংয়ের কেন এমন দশা, কোচের কাছে জবাব চাইবে বিসিবি
পুরো বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল সবচেয়ে নাজুক। হরহামেশা ক্যাচ তো পড়েছেই, তীব্র চেষ্টার ঘাটতিতে প্রায়ই বেরিয়েছে বাউন্ডারি। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ক্ষিপ্রতা দূরে থাক সাধারণ বলও হাত ফসকে বেরিয়ে খসেছে রান। বিশ্বকাপের করুণ দশা বহাল শ্রীলঙ্কা সফরেও। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ফিল্ডিং হয়েছে যাচ্ছেতাই। এরপর থেকে ফিল্ডিং কোচের কাজ নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি।
বিশ্বকাপের পর প্রধান কোচ, পেস বোলিং কোচ আর স্পিন কোচ বাদ গেছেন। কারো আপত্তি না থাকায় টিকে গিয়েছিলেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। শনিবার নতুন পেস বোলিং কোচ আর স্পিন কোচের নাম ঘোষার সময় আসে বাংলাদেশের ফিল্ডিং প্রসঙ্গ।
বোর্ড সভাপতি জানান আগে আলাপ না হলেও শ্রীলঙ্কায় প্রথম ওয়ানডের পর কুকের পারফরম্যান্স নিয়ে আলাপ করেছেন তারা, ‘ফিল্ডিং কোচ নিয়ে সভায় আলাপ হয়েছে। আপাতত আমাদের মাথায় ছিল না ফিল্ডিং কোচের ব্যাপারটা। আমাদের ধারণা ছিল ফিল্ডিং কোচ ভালো। যদিও বিশ্বকাপে দেখেছি আমাদের ফিল্ডিং একটা বড় মাথা ব্যথার কারণ ছিল। কিন্তু গতকালকের ম্যাচের পর, আর কী বলব… এরকম ফিল্ডিং, কল্পনাই করা যায় না।'
বোর্ড সভাপতি জানালেন, জাতীয় দলে জায়গা পেতে কেবল ব্যাটিং-বোলিং না এখন থেকে ফিল্ডিং কার কেমন তাও দেখা হবে। আর ফিল্ডিংয়ের করুণ দশার জন্য কারণ জানতে চাওয়া হবে কোচের কাছে, ‘আমরা ভালো ব্যাটিং-বোলিং না করলে হয়তো বাদ দিয়ে দেই। ফিল্ডিংয়ে সেটা করা হয় না। আজকে সভায় আলোচনা হয়েছে যে ফিল্ডিং ভালো না করলেও এখন থেকে আর জায়গা হবে না। ফিল্ডিংও ভালো করতে হবে।'
‘আমরা প্রথম কাজ যেটি করব, ফিল্ডিং কোচের কাছে জিজ্ঞেস করব, এই অবস্থা হলো কি করে? বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং এত খারাপ ছিল না। আচমকা এরকম খারাপ হয়ে গেল কেন। আগে তার জবাব শুনব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব নতুন ফিল্ডিং কোচ নেব কি নেব না।’
Comments