‘জাতীয় দলের বাইরে নির্বাচকদের অনেক কাজ থাকে’
বিশ্বকাপের পরই ফুরিয়ে গিয়েছিল দুই নির্বাচকের মেয়াদ। শনিবার বোর্ড সভায় সেই মেয়াদ বেড়েছে আরেকটি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। নতুন চুক্তিতে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত একই পদে থাকবেন মিনহাজুল আবেদিন আর হাবিবুল বাশার। এই সময়ে জাতীয় দল নির্বাচনে অনেকবারই সমালোচনায় পড়তে হয়েছে তাদের। নতুন দায়িত্ব পেয়ে প্রধান নির্বাচক মনে করিয়ে দিলেন তাদের কাজটা কেবল তো জাতীয় দল নির্বাচনই নয়।
বয়সভিত্তিক দলে আলাদা নির্বাচক থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটেও কাজের পরিধি বিস্তৃত দুই নির্বাচকের। জাতীয় দলের পাইপলাইন প্রস্তুত রাখার কাজটাও করতে হয় তাদের। কিন্তু খবরে আসেন জাতীয় দল নির্বাচন বিষয় নিয়েই।
মেয়াদ বাড়ার পর রোববার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল বিশদ ব্যাখ্যায় জানালেন নিজেদের কাজের পরিধি, ‘জাতীয় দলের বাইরে নির্বাচকদের অনেক কাজ থাকে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নজর দিতে হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর রাখতে হয়। আবার বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটেও নজর রাখতে হয়। শুধু জাতীয় দলে নজর দিলে হয় না। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটকে আমরা কিভাবে নিচ্ছি সেটাও দেখতে হয়। আমরা শুধু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করছি এটা ঠিক না। এটা অনেকে জানে না। সমালোচনা করার সময় মানুষ ওভাবেই সমালোচনা করে। এখানে কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট, প্রিমিয়ার লিগ আবার বিপিএল- সব দেখেই কিন্তু সেট আপ করতে হয়।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে কীভাবে খেলা হবে তাও নির্বাচকরাই ঠিক করে দেন বলে জানান মিনহাজুল, ‘আপনারা হয়তো জানেন না, গতবার ফার্স্ট ক্লাসে ৮০ ওভারে যে নতুন বল পরিবর্তন, এটা নির্বাচক প্যানেল থেকেই আসছে। অনেক টেকনিক্যাল সাইড আমরা দেখি। ডেভেলপমেন্ট বা পয়েন্ট সিস্টেম কি হবে এসবও দেখি। আমাদের কিন্তু অনেক কিছু মাথায় নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটকে সাজিয়ে তারপর জাতীয় দলে দেখতে হয়।’
‘প্রতিটা ক্রিকেটারকে প্রতিযোগিতার মধ্যে রাখাটাও কিন্তু নির্বাচক প্যানেলের কাজ। আমরা কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারের ফিটনেস আছে কিনা সেটা দেখতে একটা লেভেল সেট করে দিয়েছি। এটা আগে কোনো নির্বাচক প্যানেল করতে পারেনি। এটার কারণে ওদের ফিটনেসে একটা স্ট্যান্ডার্ড এসেছে।’
সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল খেলা ছাড়ার পর যোগ দেন কোচিংয়ে। ২০১১ সাল থেকেই তিনি আছেন দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। ২০১৬ সাল থেকে পালন করছেন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব। এই সময়ে নিজের কাজে সন্তুষ্টির কথা খোলাসা করেই বললেন তিনি, ‘নির্বাচক প্যানেলে আসার আগে আমি কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। খেলা ছাড়ার পর থেকে বয়স ভিত্তিক বা 'এ' দলের কোচিং করিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আমিও একজন ‘লেভেল থ্রি’ কোচ। সেই হিসেবে টেকনিক্যাল দিকটা অনেক ভালো জানি। এ পর্যন্ত যতদিন কাজ করে গিয়েছি, ভালো করেছি। আগামী দুই বছরের যে চ্যালেঞ্জ আছে সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরেই। আশা করি সবাইকে নিয়ে যদি টিম ওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে একটা ফলাফল আসবে।’
Comments