‘যেমন বোলিং করেছি তাতে তিনশো করলেও যথেষ্ট হতো না’
ব্যাটসম্যানরা দিয়েছিলেন মোটে ২৩৮ রানের পূঁজি। ওই পূঁজি নিয়ে জিততে হলে বোলারদের করতে হতো দারুণ কিছু। কিন্তু তারা থাকলেন যেন ব্যাটসম্যানদের চেয়েও বিবর্ণ। ম্যাচ শেষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে ঝরল হতাশা। তার মনে হয়েছে এই বোলিং আক্রমণ নিয়ে তিনশো করলেও শ্রীলঙ্কাকে আটকাতে পারত না বাংলাদেশ।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য ৩২ বল আগেই পেরিয়ে ৭ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। টানা দুই ম্যাচে অনায়াসে জয়ে জিতে নিয়েছে সিরিজও।
অথচ দিনের শুরুটা ছিল ভিন্ন কিছুর আভাসে। ব্যবহৃত উইকেটে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ টসটা জিতেছিলেন তামিমই। কিন্তু তিনিসহ টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ পারেনি সেই ফায়দা তুলতে। চারে নামা মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসের পরও বাংলাদেশ ছুঁতে পারেনি আড়াইশো।
ম্যাচ শেষে ব্যাটসম্যানদের দায় দিয়েও বোলারদের হতশ্রী অবস্থার কথাও স্পষ্ট করে বললেন তামিম, ‘গুরুত্বপূর্ণ টসটা জিতেছিলাম। আমরা জানতাম উইকেট থেকে স্পিনাররা সহায়তা পাবে। আমাদের শুরুটা ভালো হওয়া জরুরী ছিল। কিন্তু ৫০ রানে ৪ উইকেট (আসলে ৬৮ রানে ৪) হারালে উপায় থাকে না। তবে আমরা যেভাবে বল করেছি তাতে তিনশো রানও যথেষ্ট হতো না।'
ছুটিতে থাকায় এই সিরিজে নেই নিয়মিত সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে তারা না খেলাতেই এই অবস্থা হতে হবে তা মেনে নিতে পারছেন না তামিম, ‘যারা খেলছেন না তাদের নিয়ে ভেবে তো লাভ নেই। আমরা আসলে কঠোর শ্রম দিতে তৈরি ছিলাম না।’
গত মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফর থেকে শুরু বাংলাদেশের টানা ক্রিকেটের। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট জেতার পর বিশ্বকাপে গিয়ে আশা নিরাশার দোলাচলে ছিল বাংলাদেশ। শেষে গিয়ে মেটাতে পারেনি প্রত্যাশা। বিশ্বকাপের পর পরই যেতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা সফর। ক্রিকেটারদের অনেকের শরীরী মেজাজেই ছিল অবসাদের আঁচ।
Comments