ওয়ালশের কথাগুলোই শোনালেন নতুন বোলিং কোচ
‘ধারাবাহিক লেন্থে বল করতে হবে’, ‘নতুন বল কাজে লাগাতে হবে’ বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকাকালীন কোর্টনি ওয়ালশ এই কথাগুলো বলেছেন অসংখ্যবার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, নিশ্চয়ই অগুনতিবার বলেছেন শিষ্যদেরও। কিন্তু বাংলাদেশের পেসারদের সেই সমস্যা দূর হয়নি। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর ওয়ালশের বিদায় হয়েছে। সাবেক প্রোটিয়া পেসার চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। দায়িত্ব নেওয়ার আগে পুরনো কোচের মতো নতুন কোচও হুবহু শোনালেন পুরনো সেসব কথাই।
গত শনিবার বোর্ড সভা শেষে নতুন বোলিং কোচ হিসেব ল্যাঙ্গাভেল্টের নাম ঘোষণা করেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ক্রিকেটপোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট।
বাংলাদেশের পেসারদের আরও শাণিত করতে কোন জায়গায় কাজ করা দরকার। ওয়ালশ এমন প্রশ্নে প্রতিবারই বলতেন ধারাবাহিক লেংথে বল ফেলার কথা। ল্যাঙ্গাভেল্টও একই কথা জানালেন আসার আগে, ‘সব ফরম্যাটেই নতুন বলে ধারাবাহিক হওয়া দরকার। একই লেন্থে টানা বল ফেলতে হবে। ওভারে অন্তত চার-পাঁচটি বল এমন জায়গায় ফেলতে হবে যেন ব্যাটসম্যানকে তা ভাবনায় ফেলে।’
ঘরের মাঠে স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। প্রায়ই একজনের বেশি পেসার নিয়ে দেশের মাঠে টেস্ট খেলতে দেখা যায় না বাংলাদেশকে। কিন্তু উপমহাদেশের বাইরে গেলেই এই জায়গায় পড়তে হয়ে বিপদে। ল্যাঙ্গাভেল্টও জানালেন পুরনো সেই সমস্যার কথা, ‘দেশের মাঠে (বাংলাদেশ হয়ত তারা এক বা দুজন পেসার খেলাবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় খেলা হলে অন্তত তিনজন পেসার তো লাগবেই। কাজেই তিনজন পেসার দরকার যারা টানা ভালো জায়গায় বল ফেলতে পারবে, লেংথে ফেলে অ্যাটাক করতে পারবে।’
বাংলাদেশের পেস আক্রমণের আশা নিরাশা মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘিরে। কাটার দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত করা মোস্তাফিজ তূণে যোগ করতে পারেননি নতুন অস্ত্র। কাটার ধার হারালে অসহায় অবস্থায় পড়তে হয় তাকে, নতুন বলেও তাকে দেখায় আরও বিবর্ণ। মোস্তাফিজকে দূর থেকে দেখে এই পর্যবেক্ষণই করেছেন নতুন বোলিং কোচ, ‘মোস্তাফিজের গতি বৈচিত্র আছে। কিন্তু নতুন বলে এটা করা কঠিন, কারণ উইকেট তো অনেক সময়ই শুরুতে গ্রিপ করে না। আপনাকে সেরা হতে হলে নতুন বলে লেংথে ধারাবাহিক হতে হবে।’
‘সে (মোস্তাফিজ) অনেক অফ কাটার করে। আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ডানহাতি ব্যাটম্যানের জন্য বল ভেতরে ঢোকানো, বাঁহাতিদের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া।’
আপাতত ল্যাঙ্গাভেল্টের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হওয়ার আশা তার, ‘২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ থাকার সময় ওদের (বাংলাদেশ) বিপক্ষে খেলেছিলাম আমরা। তখন দেখেছি বিদেশে ওরা কতটা ধুঁকে। লাইন-লেংথের ধারাবাহিকতা নিয়ে ভুগছিল তারা। এটি ঠিক করা হবে আমার চ্যালেঞ্জ। আমি টেকনিক্যাল সমস্যা হিসেবে এটি ডিল করব।’
Comments