কোনো একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডকে ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ বলা মুশকিল: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

মেয়র সাঈদ খোকনের দাবি, ‘১১ ওয়ার্ড ডেঙ্গুমুক্ত’

সর্বশেষ সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের দাবি, রাজধানীর ১১টি ওয়ার্ডসহ বেশ কিছু এলাকা এখন ডেঙ্গুমুক্ত।
Mayor Sayeed Khokon
মেয়র সাঈদ খোকন। ফাইল ফটো

সর্বশেষ সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের দাবি, রাজধানীর ১১টি ওয়ার্ডসহ বেশ কিছু এলাকা এখন ডেঙ্গুমুক্ত।

তিনি আরো দাবি করেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

এভাবে নির্দিষ্ট কোনো এলাকা ডেঙ্গুমুক্ত করা যায় কী না?- দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিলো প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর কাছে। তিনি বলেন, “কোনো একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডকে ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ বলা মুশকিল। কেননা, এক জায়গা থেকে মশা তাড়ানো হলে, অন্য জায়গায় চলে যাবে। পরের দিন মশা যে সেই ‘মুক্ত’ এলাকায় যাবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই সব জায়গাকে এক সঙ্গে এডিস মশা মুক্ত করতে হবে।”

“ডেঙ্গু মুক্ত করার জন্যে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। শুধু ঢাকা উত্তর বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নয়, এর বাইরের এলাকাগুলো থেকেও একযোগে ডেঙ্গু মশা নিধন করতে হবে,” যোগ করেন তিনি।

রোগীর শরীরে ভাইরাস প্রসঙ্গে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, এই ভাইরাস শরীরে চার থেকে ছয়দিন থাকে। এরপর রোগীর শরীরে ভাইরাস থাকে না।

মেয়র সাঈদ খোকনের দাবি অনুযায়ী দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৮, ২২, ২৩, ২৯, ৩৫, ৪২, ৫৫, ৫৬ নম্বরসহ ১১টি ওয়ার্ড এবং জিগাতলা, হাজারীবাগ কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা কলেজ এলাকা, নিউ মার্কেট, লালবাগ, নবাবপুর, গণকটুলী, ইসলামবাগ, বংশাল, ইংলিশ রোড, পূর্ব জুরাইন এলাকাগুলো এখন ডেঙ্গুমুক্ত।

আজ (১ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভায় মেয়র খোকন এই দাবি করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

42m ago