ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রচারণায় সাকিব
বছর ছয় আগের কথা। নিউজিল্যান্ড সিরিজের মাঝ পথে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরে জানা যায় ডেঙ্গু হয়েছে তার। বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ভালোভাবেই জেনেছেন সাকিব। বর্তমানে দেশে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে ঘরে আটকে রাখেন কি করে এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নেমে পড়েছেন প্রতিরোধের প্রচারণায়।
রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংবাদ তো নিয়মিত হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে দেশের সকল জেলা থেকেও আসছে। দেশের এমন দুর্যোগের সময় ডেঙ্গু রোধের প্রচারণা করতে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতনে আসেন সাকিব। সেখানেই জানালেন এর ভয়াবহতার কথা, 'এবছরের মতো কোনো বারই ডেঙ্গু এতটা মহামারি আকার ধারণ করেনি। এবছর যেহেতু প্রকটভাবেই শুরু হয়েছে এবং অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পরেছে যারা ঢাকাতে তারা বহন করে তাদের জেলাতেও নিয়ে যাচ্ছে, সিরিয়াসনেসটা সবার মধ্যে থাকা দরকার। তাদের জানা দরকার, বোঝা দরকার যে জিনিসটা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।'
নিজে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেই খুব ভালো করে জানেন এর কষ্ট। সাকিবের ভাষায়, 'আমার একবার ডেঙ্গু হয়েছে। তাই আমি জানি এটা কত কষ্টকর।' নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই আরও বললেন, 'হয়ত আমার পরিবার বা আমি আক্রান্ত নই। কিন্তু যে বা যার পরিবার আক্রান্ত তার জন্য এটা অনেক বড় কষ্টের বিষয়।'
ডেঙ্গু এবার অন্যান্য বছরের মতো নয়। অনেক সময় কোন লক্ষণই বোঝা যাচ্ছে না এর। এমনকি চিকিৎসকরা স্বয়ং ঢোকা খাচ্ছেন। তাই এ থেকে মুক্ত থাকার জন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানান সাকিব, 'যারা সচেতন মানুষ, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বড় বড় পর্যায়ে আছে, তারাও মারা গিয়েছে। আমাদের জন্য ভয়ানক বিষয়। একারণেই মনে হয় আমার মত এরকম এসে যদি সচেতনতা তৈরি করতে পারে এই রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া সহজ হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা না জানি আমাদের কি করা উচিত।'
তবে শুধু জেনে বসে থাকলেই হবে না, এর সঠিক বাস্তবায়ন করতেও বলেন সাকিব, 'শুধু শুনলাম কিন্তু বুঝলাম না বা কাজটা করলাম না। সবার উচিত এই সম্পর্ক সচেতনতা বাড়ানো। একই সাথে যে যে কাজগুলো আমরাদের সচেতন মানুষ হিসেবে করা উচিত সেটার করতে হবে।'
বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেওয়ার পর মশার ওষুধ ছিটিয়ে প্রচারণার সমাপ্তি টানেন সাকিব।
Comments