বার্নসের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের দিন
ক্যারিয়ারে এর আগে ৭টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন রোরি বার্নস। ২টি ফিফটি করতে পারলেও সেঞ্চুরির দেখা মেলেনি। অভিষেক সেঞ্চুরির জন্য শুভ দিনের অপেক্ষা করছিলেন এ ওপেনার। অবশেষে মিলল সে দিন। ক্যারিয়ারের প্রথম অ্যাশেজ ম্যাচ খেলতে নেমেই করলেন সেঞ্চুরি। তার হার না মানা সেঞ্চুরিতে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে ৪ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছে দলটি। অস্ট্রেলিয়া থেকে মাত্র ১৭ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
আগের দিনই অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছেন স্টিভ স্মিথ। ইনিংসটি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন বার্নস। পণটা হয়তো তখনই করেছিলেন। এদিন দেখালেন তার অসাধারণ ব্যাটিং। শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট চালিয়ে ২২৪ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন এ ওপেনার। দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ১২৫ রান। নিজের ইনিংসকে আরও লম্বা করার সুযোগ থাকছে তার।
আগের দিনের বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে খেলতে নামা ইংল্যান্ড এদিনের শুরুটা ভালো করতে পারেনি। স্কোরবোর্ডে আর ১২ রান যোগ করতেই আউট হন জেসন রয়। এরপর জো রুটের সঙ্গে ১৩২ রানের জুটি গড়েন বার্নস। রুটের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। এরপর উইকেটে নেমে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি জো ডেনলি ও জস বাটলারও। তবে পঞ্চম উইকেটে বার্নসকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন ইংলিশদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি গড়েছেন তারা।
ব্যক্তিগত ৯ রানে রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া রুট করেছেন ৫৭ রান। অধিনায়ক ছাড়া বলার মতো রান করেছেন স্টোকস। ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর দলে ফেরাটা মন্দ হয়নি জেমস প্যাটিনসনের। ৫৪ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮০.৪ ওভারে ২৮৪
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৬৭/৪ (বার্নস ১২৫*, রয় ১০, রুট ৫৭, ডেনলি ১৮, বাটলার ৫, স্টোকস ৩৮*; কামিন্স ১/৬৫, প্যাটিনসন ২/৫৪, সিডল ১/৪৩, লাওন ০/৭৯, ওয়েড ০/৭, হেড ০/৭)।
Comments