‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামিসহ নিহত ৩
ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জে গতকাল দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের চরপুলিয়ামারি এলাকার জহিরুল ইসলাম (২০), ফুলবাড়িয়া উপজেলার জনি মিয়া (২৬) ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দা সোলেমান।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দের ভাষ্য, “সদরের চরপুলিয়ামারি এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী চক্র মাদক ভাগাভাগি করছে এমন খবরে রাত ১২টার দিকে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ও ছিনতাইকারী চক্র পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ জনিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
তবে জনির ফুফু শাহিদার দাবি, “রবিবার দুপুরে পাটগুদাম এলাকায় চা পানের দোকান থেকে নিখোঁজ হয় জনি।”
এদিকে, রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়িয়ার কালাদহ এলাকায় গণধর্ষণ মামলার আসামি ধরতে গেলে আসামিরা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
শাহ কামাল আকন্দ দাবি করেন, “এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহিরুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ আরও জানায়, গত ৩ আগস্ট ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী গ্রামে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আসামি ছিলেন জহিরুল।
এদিকে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হকের ভাষ্য, “রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়লে সোলেমান গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।”
Comments