অনভিজ্ঞতার কারণেই টি-টোয়েন্টিতে হেরেছি: নিগার সুলতানা
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ 'এ' দলের মেয়েরা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে সবগুলো ম্যাচই। যার অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে পারতো বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ তো হেরেছে সুপার ওভারে গিয়ে। আর এ হারের মূল কারণই ছিল অনভিজ্ঞতা। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এমনটাই বলেছেন দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে মাত্র ৫ রানে হারে বাংলাদেশ। সহজ কিছু ক্যাচ মিস না করলে লক্ষ্যটা হতে পারতো আরও ছোট। তবে সবচেয়ে বড় কথা, ফাহিমা ও রিতুর ব্যাটে জয়ের পথে থাকা দলটি হেরেছে শেষ দিকের স্নায়ুচাপ সামলাতে না পেরে। আর তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা তো একেবারেই হাতছাড়া হয়েছে। স্কোর সমান করেও হারে সুপার ওভারে। এবারও পার্থক্য গড়ে দেয় ওই শেষ দিকে স্নায়ুচাপ সামলাতে না পারাটাই।
অভিজ্ঞতা থাকলে এ দুটি ম্যাচেই জিততেন তা বেশ জোর গলাতেই বলছেন অধিনায়ক নিগারও। ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে বললেন, 'আমাদের মূল সমস্যাটিই অভিজ্ঞতা। টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও আমরা জিততাম। দুইটা ম্যাচ আমাদের মুঠো থেকে বেড়িয়ে গেছে। শেষ দিকে কি করতে হবে তা বুঝতে পারিনি। সুপার ওভারে কি করতে হবে ধারণাই ছিল না। আমরা ঘরোয়া পর্যায়েও মোটে একবার টি-টোয়েন্টি খেলেছি। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচই কয়টা খেলি। এটা তো এ দলের ম্যাচ গেলো, এ বছর তো আমরা কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলিনি।'
'আমরা সুপার ওভারে কখনো খেলেনি। ম্যাচটা আসলে জেতার কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি। একটা বলে শায়লা যখন চার মারলো, পরের বলটাকে কাঞ্চিতে লেগেও যদি একটা রান হতো ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই আমরা খুব কাছে গিয়ে হেরেছি। ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণেই কিন্তু টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো আমরা হেরেছি। এটাই সবথেকে বড় বাধা। আমরা এমন পরিস্থিতি কখনোই খেলেনি। খেলতে খেলতে হয়তো এই জায়গাতে আমাদের পজিশন তৈরি হবে। যত আমরা এই ধরনের পরিস্থিতিতে সঙ্গে মুখোমুখি হবো, আমরা ততো শিখতে পারবো। তার জন্য আমাদের প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে।' - যোগ করে আরও বলেন নিগার।
তবে হারলেও এমন সিরিজ নিয়মিতই চান অধিনায়ক। তা থেকেই ভবিষ্যতে জয়ের রশদ মিলবে তাদের। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে দারুণ খুশি নিগার, 'দল হিসেবে আমরা আগের চেয়ে অনেক ভালো করছি। আমরা এখানে ৪/৫ জন মূল খেলোয়াড় ওখানে গিয়েছি। ওদেরও তেমন ছিল ওখানে। টি-টোয়েন্টিতে ওদের মূল অধিনায়ক নাদাইন ডি ক্লার্ক কে নেওয়া হয়েছে। ভালো প্রতিযোগিতা হয়েছে। লক্ষ্য ছিল আগের সফরটাতে যেখানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি সেটা যেন ঠিক করে করতে পারি। ওয়ানডে সিরিজে আমাদের লক্ষ্য ছিল ২৫০ রান করা। বড় স্কোর চেজ করা।'
চলতি মাসের শেষেই স্কটল্যান্ডে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৫ আগস্ট নেদারল্যান্ডসে ১০ দিনের ক্যাম্প করতে উড়ে যাবে তারা। এর আগে প্রস্তুতি নিতে মাত্র ৪/৫ দিন সময় পাচ্ছে তারা। ২০১৪ সালে প্রথমবার স্বাগতিক হওয়ায় সুযোগ মিলেছিল তাদের। এরপর টানা দু'টি আসরে বাছাই পর্ব উতরেই মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল মেয়েরা।
Comments