দুই নাতনিকে নিয়ে বাড়ির খাবার খেয়েছেন খালেদা জিয়া

ঈদের দিনে দুই নাতনিকে নিয়ে বাসার রান্না করা খাবার খেয়েছেন কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
khaleda zia
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ঈদের দিনে দুই নাতনিকে নিয়ে বাসার রান্না করা খাবার খেয়েছেন কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জাহিয়া ও জাফিয়া খালেদার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কন্যা। দু‘জনই তাদের মা শর্মিলা রহমান সিঁথির সঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

স্বজনদের নিকটজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া দুই নাতনিকে দেখে খুশি হয়েছেন। দাদীকে পায়ে ধরে সালাম করার পর দুই নাতনিকে বুকে জড়িয়ে আদর করেন খালেদা জিয়া।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কারো সাহায্য ছাড়া একা হাঁটতে পারেন না, হুইল চেয়ারে করে তাকে চলাচল করতে হয়। ডায়াবেটিস থাকায় প্রতিদিনই তাকে ইনস্যুলিন নিতে হবে। রয়েছে দাঁত ও চোখের সমস্যা। হাত-পায়ে আর্থারাইটিসের ব্যথাও রয়েছে তার।

গত ১ এপ্রিল থেকে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঈদের দিন কারা কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে খালেদার সঙ্গে ছয় জনকে দেখার অনুমতি দেয়। কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়া ছিলেন- খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলেঅভিক এস্কান্দার।

বেলা দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাসপাতালের কেবিন ব্লকে আসেন তারা। ছোট ছেলের বউ শ্বাশুড়ির (খালেদা জিয়া) জন্য বাসা থেকে খাবার রান্না করা নিয়ে আসেন।

প্রায় দুই ঘণ্টা নাতনি, ছোট ছেলে বউসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় সময় কাটিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

বেলা দেড়টায় খালেদা জিয়ার স্বজনদের বিএসএমএমইউর ষষ্ঠ তলার কেবিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কারাগারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা খালেদা জিয়ার কেবিন কক্ষে প্রবেশ করেন।

সেবা শুশ্রশার জন্য গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন। তিনিও স্বজনদের সঙ্গে একই খাবার খেয়েছেন।

কারাগারে খালেদা জিয়া এ নিয়ে ঈদ করেছেন ষষ্ঠ বারের মতো।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago