জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাথাব্যথা নেই সরকারের: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এ সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই তারা দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থার ক্ষতি করছেন।”
Mirza Fakhrul
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ফটো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এ সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই তারা দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থার ক্ষতি করছেন।”

চামড়া ব্যবসায় চলমান সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত কোন নিয়ম-নীতি না থাকার কারণে এবং আমরা যেটা মিডিয়াতে দেখলাম সিন্ডিকেটের কারণে এ চামড়া ক্রয় করা নিয়ে ব্যবসায়ী ও পশু কোরবানি যারা করেছেন তারা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকার কারণেই বহু জায়গায় চামড়া মাটিতে পুতে ফেলতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের সময় চামড়া কেনার জন্য ব্যাংক থেকে চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া হতো এবং যারা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে চামড়া পৌঁছে দেওয়া হতো। এ ধরনের কোনো কিছু না থাকার কারণে চামড়া শিল্পে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

“এখন শেষ মুহূর্তে বলা হচ্ছে চামড়া এক্সপোর্ট করা হবে; এই সিদ্ধান্তও অনেক দেরীতে,” এ প্রসঙ্গে যোগ করেন ফখরুল।

“এসব কারণেই আমরা বার বার বলছি এ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত; নতুন নির্বাচন দেওয়া উচিত এবং সে নির্বাচনটা হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।”

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকারের সমস্যাটা হচ্ছে তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কোথায় জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হলো, কার কোথায় ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হলো এটা নিয়ে সরকারের কখনই মাথা ব্যথা ছিল না; এখনও নেই। সে কারণে তাদের সিদ্ধান্তগুলো গণবিরোধী হয়। পরিণামে দেশের ক্ষতি হয়।

ফখরুল বলেন, যে কথাটা আওয়ামী লীগ সরকার বার বার বলার চেষ্টা করে- উন্নয়ন করছে; উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। এ কথাটা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গেছে; এটা জনগণকে ভুল বোঝানোর একটা কৌশল। অনেক অর্থনীতিবিদ প্রমাণ করেছেন সরকারের যে দাবি সেটি সঠিক নয়; সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে না।

“সরকারি খরচ বাড়ছে; সরকারি খরচের পয়সা কোথায় থেকে আসে ট্যাক্সের মাধ্যমে; প্রচুর ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্সের মধ্য দিয়ে। ব্যাংকে যারা টাকা জমা রাখছে, ফিক্স ডিপোজিটেও ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে গোটা অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করা হয়েছে।”

ব্যাংকিং সেক্টরে যে অনিয়ম তা পুরো অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় বড় মানুষরা উপদেষ্টা, মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন তারাই ব্যাংকগুলো থেকে টাকা নিয়েছেন; আর পরিশোধ করে না।

খালেদা জিয়ার মুক্তি-ই একমাত্র রাস্তা

ফখরুল বলেন, আমরা এ বিষয়ে আগেও বলেছি, এখনও বলছি আইন ও বিচার ব্যবস্থায় হয়েছে দলীয়করণ। সেখানে খালেদা জিয়া কতটুকু আইনি সুবিধা পাবেন, আমরা জানি না এবং আমরা আশাবাদী-ও না।  

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া এমন কিছু করেনি যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে; এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। যেখানে কোনো অন্যায় ঘটেনি, যেখানে কোনো দুর্নীতি ঘটেনি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাকে জোর করে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এটা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রে ক্ষমতায় আছে বলে। এই সুযোগটা আওয়ামী লীগ যথার্থ ব্যবহার করছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago