বর্মী ও ইংরেজি মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার তাগিদ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলা ভাষার বদলে ইংরেজি ও বর্মী ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এমনটা করা হলে তারা তাদের নিজেদের দেশের প্রতি টান অনুভব করবেন ও কর্মসংস্থানের জন্য নিজেদের দেশে ফিরে যেতে উৎসাহী হবেন। বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন অংশগ্রহণকারীরা।
হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের দ্বারা আয়োজিত এই গোলটেবিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, চট্টগ্রাম সিএসসিআর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জামাল আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন কাদেরী, ড. আমীর হোসাইন, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান কামাল হোসাইন প্রমুখ।
“রোহিঙ্গা সমস্যা: কক্সবাজারবাসী তথা রাষ্ট্রের করণীয়” শীর্ষক এই বৈঠকে তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট এই সংকট বাংলাদেশের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের বিশেষ কোটানুসারে সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়িত হয়নি। রোহিঙ্গাদের অনেকে কৌশলে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদ গ্রহণ করে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে আবার অনেকে শরণার্থী হয়েও কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য করছে। রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরা, আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে সম্পৃক্ত হওয়া এবং স্থানীয় শ্রমবাজার দখলে নিয়ে স্থানীয় বেশিরভাগ মানুষকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
Comments