প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীর খাবারের কথা ভাবছে সরকার

Primary school
ছবি: ফাইল ফটো

পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন খাবার দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষার হার বাড়ানো এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট এক কোটি ৭৩ লাখ শিক্ষার্থীদের জন্যে খাবার দেওয়ার বিষয়ে একটি কর্মকৌশলের খসড়া তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শীঘ্রই তা মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের জন্যে উপস্থাপন করা হবে।

‘ন্যাশনাল স্কুল মিল পলিসি ২০১৯’ শিরোনামের এই কর্মকৌশলে বলা হয়েছে দেশের ১ লাখ ৩৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমরা খসড়াটি চূড়ান্ত করেছি।... এটি অনুমোদনের জন্যে শীঘ্রই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।”

আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে এই কর্মকৌশলটি বাস্তবায়ন করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, দারিদ্রপীড়িত এলাকাগুলোতে এই কার্যক্রম আগে শুরু করা হবে।

শিক্ষার্থীদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থার গুরুত্ব ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধির সঙ্গে এর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের উপ-পরিচালক কেএম এনামুল হক বলেন, “যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী খালি পেটে স্কুলে যায় সেহেতু স্কুলে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাটি খুবই প্রয়োজন। পেটে ক্ষুধা নিয়ে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর।”

তিনি আরো বলেন, “বিদ্যালয়ে খাবার দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার পাবে। এর ফলে পরিবার থেকে শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্যে আগ্রহও তৈরি হবে। এতে একদিকে যেমন বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়বে, অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ছাড়ার প্রবণতাও কমবে।”

২০১৮ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারিতে দেখা যায় গত বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিলো ৮৮ শতাংশ এবং ঝরে পড়ার হার ছিলো ২০ শতাংশ।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে Govt plans school meal to cut dropout লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English

Power grid failure causes outage across 21 districts

According to the Power Grid Bangladesh PLC, the situation has since returned to normal

6h ago