যে কারণে কেজরিওয়াল অন্য সবার থেকে আলাদা
ভারতের রাজনীতিতে ‘আম আদমি পার্টি’-র প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল রয়েছেন একটি বিশেষ অবস্থানে। তার কথা ও রাজনীতি দেশটির প্রচলিত ধারা থেকে আলাদা। তার সেই অন্যরকম ইমেজ আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাগরিকদের কিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে।
গতকাল (১৫ আগস্ট) কেজরিওয়াল ঘোষণা দিলেন আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে দিল্লির বাসে নারীরা বিনামূল্যে চলাচলের সুযোগ পাবেন। এর আগে তিনি দিল্লির মেট্রো ট্রেনে নারীদের বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, দেশটির ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে আয়োজিত এক জনসভায় গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিল্লি ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের সব বাস ও অন্যান্য বাসেও নারীরা বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ, দিল্লির নারীদের মেট্রো ট্রেনের পর বাসে যাতায়াতের জন্যে ভাড়া দিতে হবে না।
তবে এর ফলে যে ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে তা কমানোর জন্যে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘যে সব নারীর সামর্থ্য রয়েছে তারা টিকিট কাটলে বাকিরা বিনামূল্যে যাতায়াত করার সুযোগ পাবেন।’’
শুধু তাই নয়, এ মাসের শুরুতে কেজরিওয়াল ঘোষণা দিয়েছেন যে দিল্লিতে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এমনকী, কারো বিল যদি ২০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের মধ্যে হয়, তাহলে এখন ইউনিট-পিছু যে দামে বিদ্যুৎ কিনতে হয় দিল্লির জনগণকে, তা কমে অর্ধেক হয়ে গেলো। কারণ, দিল্লি সরকার বাকি ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং এই ঘোষণা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দের আশা, ‘‘ভারতে এখন সবচেয়ে সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে দিল্লিতেই।”
তার এই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লিতে এখন অন্তত ৩৩ শতাংশ গ্রাহক উপকৃত হবেন যাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০০ ইউনিটের কম হয়। আর যারা এই তালিকায় থাকবেন তাদের বাড়িতে কোনোদিনই বিদ্যুৎ বিল আসবে না।
আগামী বছরের শুরুতে দিল্লিতে বিধানসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে কেজরিওয়ালের এমন ঘোষণাকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল বলে সমালোচনা করেছেন অনেকে। গণমাধ্যমে অনেকে দাবি করেছেন, কেজরিওয়ালের এমন নাগরিক সুবিধায় একদিকে যেমন সরকারের ভর্তুকি বাড়বে অন্যদিকে, রাজ্যটিতে বাড়বে অভিবাসী মানুষের চাপ।
Comments