যেখানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে নিয়োগ পেলেন ডমিঙ্গো

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানান, এবার বাংলাদেশের কোচ হতে নামডাকওয়ালা কোচদের আগ্রহ ছিল তুমুল। তাদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোকে। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচকে কেন বেছে নিয়েছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বোর্ড প্রধান।
Nazmul Hasan papon
ছবি: বিসিবি

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানান, এবার বাংলাদেশের কোচ হতে নামডাকওয়ালা কোচদের আগ্রহ ছিল তুমুল। তাদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোকে। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচকে কেন বেছে নিয়েছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বোর্ড প্রধান। 

বিশ্বকাপ শেষে দল দেশে ফেরার পর পরই গত ৮ জুলাই স্টিভ রোডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বোর্ড। দেড় মাসেরও কিছু বেশি এই সময়ে বিসিবি খুঁজে বেড়িয়েছে একজন মনোমতো কোচ। বিসিবির খোঁজের পাশাপাশি গণমাধ্যমে নাম এসেছে অনেক। সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম এসেছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক হাইপ্রোফাইল কোচ মাইক হেসন, বাংলাদেশেরই সাবেক কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে, পল ফারব্রেস, মিকি আর্থারদের নাম।

এদের মধ্যে কেবল ডমিঙ্গোই গত ৭ অগাস্ট সরাসরি ঢাকায় এসে নিজের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। বাকিদের নাম বিসিবি গোপন রাখলেও তারা কথা বলেছেন স্কাইপেতে।

সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত দুজনের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছিল বিসিবি। আরেকজনের নাম বোর্ড গোপন রাখলেও সেই নামটি মাইক হেসন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এদের সবাইকে ডিঙ্গিয়ে ডমিঙ্গো পান আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব।

বোর্ড সভাপতি জানালেন, নির্বিঘ্নে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা করে বাংলাদেশকে সময় দিতে পারার জন্যই সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন ডমিঙ্গো,  ‘সবচেয়ে বেশি এভেইলেবেলিটি (সময় দিতে পারা)। সামনে যে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে সেখানে কিছু নতুন ছেলে ঢুকতে পারে। সম্ভাবনা আছে। কারণ আমাদের কিছু বিকল্প লাগতে পারে। সেদিক দিয়ে যদি চিন্তা করেন। এখন থেকেই নিচে থেকে ছেলেদের নিয়ে আসতে হবে। এই ধরণের কাজ করার জন্য রাসেল যোগ্য লোক। কারণ সে এটাই করতে চাচ্ছে। সে আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল, এইচপি এসব কিছু ইন্টিগ্রেড করে কাজ করতে চাইছে। এরকমই কাজ করে আসছে সে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। এটা একটা বাড়তি পয়েন্ট তার জন্য।’

‘সে আমাদের চার বছরের একটা পরিকল্পনা দিয়েছিল। অন্যরাও দিয়েছে। কিন্তু ও সামনাসামনি দিয়েছে। কেউ স্কাইপেতে দিয়েছে, কেউ লিখিত দিয়েছে। কাজেই এদিক দিয়ে চিন্তা করলে সে এগিয়ে ছিল।’

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিতে বাংলাদেশের কোচ হয়েছিলেন স্টিভ রোডস। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় মেয়াদ ফুরবার বেশ আগেই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিসিবি। নতুন কোচের বেলাতেও প্রত্যাশার মাত্রা ঠিক করতে সময় নিতে চায় বিসিবি, ‘একটা কোচ আসছে আসলে তার সাথে আমাদের ওইরকম ইন্টারেকশন হয়নি, একটা সাক্ষাতকার হয়েছে। তারও আমাদের বোঝা দরকার। সব মিলে গেলে থাকবে আরও অনেকদিন।’

Comments