নাসার সাবেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য বললেন

‘বিজ্ঞানচর্চায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানো দরকার’

নাসার সাবেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য বলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান বুঝতে হলে বায়ুমণ্ডলের উপরে যেতে হবে। বিভিন্ন নক্ষত্রের পতন থেকে আমরা মূল্যবান খনিজ পদার্থ পেয়েছি। বিজ্ঞান কোনো সময় থেমে থাকে না। প্লুটোকে আমরা এক সময় গ্রহ বলেছি। এখন আমরা তাকে গ্রহ বলি না। আমার মনে হচ্ছে- প্লুটোকে আবার আমরা গ্রহ বলতেও পারি।
Dr. Deepen Bhattacharya
১৭ আগস্ট হবিগঞ্জ টাউন হলে ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের টুকিটাকি’ বিষয়ক একক বক্তৃতা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে নাসার সাবেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত

নাসার সাবেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য বলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান বুঝতে হলে বায়ুমণ্ডলের উপরে যেতে হবে। বিভিন্ন নক্ষত্রের পতন থেকে আমরা মূল্যবান খনিজ পদার্থ পেয়েছি। বিজ্ঞান কোনো সময় থেমে থাকে না। প্লুটোকে আমরা এক সময় গ্রহ বলেছি। এখন আমরা তাকে গ্রহ বলি না। আমার মনে হচ্ছে- প্লুটোকে আবার আমরা গ্রহ বলতেও পারি।

আজ (১৬ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ টাউন হলে ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের টুকিটাকি’ বিষয়ক একক বক্তৃতা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে ড. দীপেন এ কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, “আমরা বিভিন্ন গ্রহে প্রাণের অনুসন্ধান করছি। এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কোথাও থাকতে পারে। এক সময় হয়তো সেখানে মানববসতিও গড়ে উঠতে পারে।”

“পৃথিবীতে বর্তমানে মানুষ আছে ৮০০ কোটি। এটি বেড়ে হতে পারে ১,২০০ থেকে ১,৩০০ কোটি। তবে এক সময় ঠিকই কমে তা ৫০০ কোটির আশে-পাশে থাকবে। বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকাতে মানুষ বেশি বাড়ছে। বাংলাদেশেও ২০৫০ সালের পর মানুষ কমতে থাকবে।”

তার মতে, “দেশে যারা শিক্ষা নিয়ে গবেষণা এবং কাজ করছেন তাদের অনেক সক্ষমতা আছে। তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। কেনো আমাদের লোকেরা পদ্মাসেতু আর যমুনাসেতু করতে পারছে না- তা আমার বোধগম্য নয়।”

ড. দীপেন ভট্টাচার্য প্রায় তিন ঘণ্টা একক বক্তৃতা এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সেসময় তিনি বিজ্ঞানচর্চায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানো দরকার বলেও মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও তারুণ্য সোসাইটি।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট ইনস্টিটিউটের গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড ক্যাম্পাসে (ইউসিআর) গামারশ্মি জ্যোতির্বিদ হিসেবে তিনি প্রায় ২০ বছর কাজ করেছেন।

বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার মরেনো ভ্যালি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago