পাটুরিয়া ঘাটে চরম দুর্ভোগ
ঈদ শেষে পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কবলে পড়ে নাকাল হচ্ছেন তারা।
গত দুদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অর্থদণ্ড ও জেল দিয়েও বন্ধ করা যায়নি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘাট ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের অভাবেই এমনটি হচ্ছে।
আজ (১৭ আগস্ট) দিনভর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং পাটুরিয়া ঘাটে অবস্থানকালে এই পথে যাতায়াতকারী দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলার যাত্রীরা দ্য ডেইলি স্টারের কাছে তাদের অভিযোগের কথা জানান। ঘাট ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
“দ্বিগুণ, তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে,” এমন অভিযোগ জানিয়ে যাত্রীরা জানান, “অতিরিক্ত ভাড়া না দিতে চাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর খোলা ট্রাকে কিংবা পিকআপ ভ্যানে চড়ে পাটুরিয়া থেকে গন্তব্যে গেছেন অনেকে।”
তবে, ১৯টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চালু থাকায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি’র পাটুরিয়াঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত দুদিনে বিভিন্ন পরিবহনের বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে তিন লাখের বেশি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
“এছাড়াও, ২৫টি বাসের ৪০০ যাত্রীর কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে,” উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১৬ আগস্ট একজন বাসচালককে সাতদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
Comments