গরম পড়ার কারণে দশ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে, পরিমাণের দিক দিয়ে অত্যন্ত নগণ্য: শিল্পমন্ত্রী

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

এই মুহূর্তে চামড়া শিল্পে কোনো সংকট নেই এবং চামড়ার ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চলছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, “প্রতিবছর কোরবানির ঈদে সারাদেশে পাঁচ হাজার চামড়া নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু এবার গরম পড়ার কারণে দশ হাজারের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে। যেটা মোট এক কোটি চামড়ার মধ্যে পরিমাণের দিক দিয়ে অত্যন্ত নগণ্য। আমরা এবার চামড়া নিয়ে যেভাবে আতঙ্কিত ছিলাম, সেভাবে নষ্ট হয়নি।”

আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায় সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন, জেলা পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে পশুর চামড়া পুঁতে ফেলার যে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর মাধ্যমে দেশের উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি ঠেকানো এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, কোরবানিতে এক কোটি চামড়া হয়। এবার তার মধ্যে ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে বা মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। প্রতিবছর কিন্তু পাঁচ হাজার চামড়া এমনি নষ্ট হয়। এবার মূলত বেশি গরমের জন্যই চামড়া বেশি নষ্ট হয়েছে।

এদিকে, সভায় কোরবানির ঈদে সংগৃহিত কাঁচা চামড়া আগামীকাল থেকে বেচা-কেনা শুরু করতে একমত হন চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরাও জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে এ বছর দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার পশুর চামড়া নষ্ট হয়েছে।

সভায় ট্যানারি মালিকরা আগামী তিন মাসের মধ্যে সংগৃহিত কোরবানির পশুর চামড়া কেনার প্রতিশ্রুতি দেন। একই সাথে তারা আড়তদারদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়েও আশ্বস্ত করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Power grid failure causes outage across 21 districts

According to the Power Grid Bangladesh PLC, the situation has since returned to normal

1h ago