চীনের কাছে কয়েক ঘণ্টায় পরাজিত হতে পারে আমেরিকা!

সামরিক শক্তিতে এশিয়ায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে চীন। চীনের তুলনায় এই মহাদেশে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি এশিয়ায় চীনের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধ হয়, তবে বড় রকমের বিপদে পড়ে যাবে আমেরিকা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। সামরিক শক্তিতে মহাপ্রাচীরের দেশটির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
China military
ছবি: সংগৃহীত

সামরিক শক্তিতে এশিয়ায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে চীন। চীনের তুলনায় এই মহাদেশে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি এশিয়ায় চীনের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধ হয়, তবে বড় রকমের বিপদে পড়ে যাবে আমেরিকা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। সামরিক শক্তিতে মহাপ্রাচীরের দেশটির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

গত ২০ আগস্ট সংবাদটি প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনাইটেড স্টেটস স্টাডি সেন্টারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, চীনের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘায়েল করতে পারবে।

প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে আমেরিকার যে প্রতিরক্ষা কৌশল রয়েছে তা চীনকে ঘায়েল করতে হিমশিম খাবে। এর অর্থ হলো: অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্রকে এখন নিজেদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যে নতুন করে ভাবতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বিবেচনায় নিতে হবে বলে প্রতিবেদনটিতে মন্তব্য করা হয়েছে।

চীনের সামরিক শক্তি, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে দেশটির অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। ইউনাইটেড স্টেটস স্টাডি সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্যকে টেক্কা দিতে চীন উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রেখেছে।”

এতে আরো বলা হয়, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সামরিক স্থাপনা রয়েছে সেগুলো “চীনের উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।”

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১৯ আগস্ট এক প্রতিক্রিয়া জানায়, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনটি তারা এখনো দেখেনি। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জেং শুয়াং জোর দিয়ে বলেন, “চীনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি আত্মরক্ষামূলক।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago