গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরকার জড়িত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরকার জড়িত ছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন হামলা সম্ভব নয়।
হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আজ তিনি বলেন, ‘সেই সময় ক্ষমতায় থাকা বিএনপি-জামায়াত জোটের মদদ ছাড়া দিনে-দুপুরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২১ আগস্ট হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সাহারা খাতুন, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাজধানী বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অধীনে একটি এবং হত্যার জন্য আরেকটি মামলা।
সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Comments