কেমন উইকেট হবে জানেন না তাইজুলরা
ক্রিকেটের নূন্যতম যারা খবর রাখেন তারা আফগানিস্তানের স্পিন শক্তি সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন। হালের অন্যতম সেরা স্পিনার রশিদ খানের সঙ্গে মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবির মায়াজালে ঘায়েল করতে পারেন যে কোন ব্যাটসম্যানকে। সেই দলের বিপক্ষে স্পিন উইকেট বানানো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতেই পারে। তবে কেমন উইকেট হবে তা এখনও জানেন না বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
ঘরের মাঠে শেষ যে কয়টি টেস্ট সিরিজ জিতেছে তার সবকটিই ছিল স্পিন উইকেটে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দেশ এখান থেকে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়রা টার্নিং উইকেট হবে ভেবে নিশ্চিন্ত থাকেন। ম্যানেজমেন্টও তাই ভাবে। কিন্তু আফগানিস্তানের স্পিনাররা যে বিশ্বসেরা। বিশেষ করে রশিদ খান একাই যে কোন দলের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দিতে পারেন। তাই বিকল্প ভাবনা থাকতেই পারে ম্যানেজমেন্টের। কিন্তু এখনো খেলোয়াড়দের এ প্রসঙ্গে কিছুই জানানো হয়নি। আগে থেকে জানা থাকলে কিছুটা হলেও বাড়তি প্রস্তুতি নিতে পারতেন তারা।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে আফগানদের বিপক্ষে সম্ভাব্য উইকেট নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে এখনও কিছুই জানেন না এ স্পিনার। তবে নিজেকে সব ধরণের উইকেটে খেলার জন্য প্রস্তুত রাখছেন তিনি, 'আমরা উইকেটের ব্যাপারে এখনও কিছুই জানিনা। এটা ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। একজন স্পিনার হিসেবে আমি সব ধরণের উইকেটে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখছি।'
আশার খবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার টেস্টে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। গত বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আঙুলে আঘাত পাওয়ার পর তিনটি সিরিজে তাকে পায়নি বাংলাদেশ। তাকে পেয়ে উজ্জীবিত তাইজুলও, 'সাকিব ভাইকে ছাড়া সবকিছু কঠিন হয়ে যায়। সে অভিজ্ঞ এবং বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা তাকে সতর্কতার সঙ্গে খেলে এটা আমাদের মতো বোলারদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। তার উপস্থিতি আমাদের কাজটা সহজ করে দেয়। সাকিব ভাই পরের সিরিজে আসছেন যেটা আমাদের জন্য খুব ভালো খবর।'
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে আফগানিস্তান। ওয়ানডেতেও হয় কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে সংক্ষিপ্ততম দুই সংস্করণে বেশ কয়েকবার মোকাবেলা করলেও এখনও টেস্ট ক্রিকেটে আফগানদের বিপক্ষে খেলেনি বাংলাদেশ। এবারই প্রথম ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে মুখোমুখি হবে দলদুটি। তাই এ সংস্করণের আফগান স্পিনাররা কতটুকু কার্যকর হবে তার অভিজ্ঞতা নেই টাইগারদের। তবে গত বছর ভারতের মাটিতে আইরিশদের বেশ ভুগিয়েছেন আফগান স্পিনাররা। রশিদ খানের ঘূর্ণিজালেই জয় পেয়েছিল দলটি। তাই টার্নিং উইকেট পেলে তারা যে ভয়ঙ্কর হবেন তা প্রায় অনুমিত।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। এর আগে অবশ্য চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ১ সেপ্টেম্বর একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আফগানরা।
Comments