সিরিজ হারল এইচপি দল, সেঞ্চুরিতে দাবি জোরালো সাইফের

দারুণ সেঞ্চুরি করে টেস্ট দলে ঢোকার দাবি জানিয়ে রেখেছিলেন সাইফ হাসান, ব্যাট হাতে অবদান রেখেছিলেন আফিফ হোসেনও। তাদের ব্যাটে দল পেয়েছিল মাঝারি পূঁজি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওভার কমে আসা ম্যাচ রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কানরা যেন আরও দুর্বার। পাথুম নিশাকার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে এইচিকে উড়িয়েই সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা।
Saif Hasan & Afif Hossain
ফাইল ছবি: বিসিবি

দারুণ সেঞ্চুরি করে টেস্ট দলে ঢোকার দাবি জানিয়ে রেখেছিলেন সাইফ হাসান, ব্যাট হাতে অবদান রেখেছিলেন আফিফ হোসেনও। তাদের ব্যাটে দল পেয়েছিল মাঝারি পূঁজি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওভার কমে আসা ম্যাচ রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কানরা যেন আরও দুর্বার। পাথুম নিশাকার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে এইচিকে উড়িয়েই সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং পেয়ে সাইফের ১১৭ রানের ভর করে ২৬৯ রান করেছিল বাংলাদেশ এইচপি দল। লঙ্কান ইনিংসের সময় বৃষ্টির কারণে  ডি/এল মেথডের হিসাবে ২৮ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। তাতে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৯। ৪ ওভার হাতে রেখে ওই রান তুলে ৭ উইকেটে জিতেছে তারা।

এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সফরকারীরা জিতল ২-১ ব্যবধানে।

সকালে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতেই ওপেনার নাঈম শেখকে হারায় এইচপি। ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটিতে সামাল দেন সাইফ। ৩৯ করে শান্ত আর মাত্র ৯ রান করে দ্রুত ফিরে যান ইয়াসির আলি রাব্বি। ভড়কে না গিয়ে আফিফ হোসেনকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলান সাইফ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ১২৫ রানের জুটি। ১৩০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৭ ছক্কায় ১১৭ রান করে বাঁহাতি পেসার কালনা পেরেরাকে উইকেট দেন সাইফ।

তবে ইনিংসের শেষ অবধি থেকে ব্যাট চালিয়েছেন আফিফ। ৭০ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৬৮ করে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি।

বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচে ওভারপ্রতি সাতের উপর রান তোলার চাহিদায় ব্যাট করতে গিয়ে উড়ন্ত শুরু পায় লঙ্কানরা। নিশাকা আর হাসিতা বয়াগদার উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারেই আসে ৬৪ রান। যাতে ২৩ বলে মাত্র ১২ করে দায়িত্ব সারেন বয়াগদা। এসেই ফেরত যান চারিশা আশালাঙ্কা। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মিনোদ বানাকাকে নিয়ে বাকিটা একদম টের পেতে দেননি নিশাকা।

এইচপির বোলারদের পিটিয়ে তরতরিয়ে বাড়াতে থাকেন দলের রান। বানাকা ৩২ বলে ৫৫ করে ফিরলেও নিশাকা থেকেছেন অপরাজিত। ৭৮ বলে ৮ চার আর ৫ ছক্কায় ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ এইচপি দল: ৫০ ওভারে ২৬৯/৫ (সাইফ ১১৭, নাঈম ৬, শান্ত ৩৯,  ইয়াসির ৯, আফিফ ৬৮*, জাকির ৭, ইয়াসিন ১৩* ; ফার্নান্দো ১/৪৮ , পেরেরা ২/৪৭  , ডানিয়েল ৪৮/০,  মেন্ডিস ১/৪৪  , সিলভা ১/৫৮ , কামিন্দু ০/২১)

শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল: ২৪ ওভারে ১৯৯/৩  (লক্ষ্য ২৮ ওভারে ১৯৯) ( নিশাকা ১১৫*, বয়াগদা ১২, আশালাঙ্কা ২, বানুকা ৫৫, কামিন্দু ৫* ; শফিকুল ০/৩৫  , ইয়াসিন ১/২৯,  নাঈম ০/৬০, রবিউল ১/৩৯,  আমিনুল ১/৩২)

ফল: ডি/এল মেথডে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: পাথুম নিশাকা।

সিরিজ: শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ২-১ ব্যবধানী জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago