তবু ফিল্ডিং কোচের বিচারে ভালো নম্বরই পেলেন ফিল্ডাররা!
বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছি কোনটি? খেলা দেখে থাকলে এই প্রশ্নে অভিন্ন উত্তরই আসার কথা। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের মাথা ব্যথার কারণ ছিল ফিল্ডিং। গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব ম্যাচেই ক্যাচ পড়েছে, যথেষ্ট ক্ষিপ্রতার অভাবে বেরিয়েছে প্রচুর রান। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মৌলিক জায়গায় খামতির কথা জানালেও দল হিসেবে বেশ ভালো নম্বরই দিলেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।
বিশ্বকাপে জেসন রয়, ডেভিড ওয়ার্নার, রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যানদের সহজ ক্যাচ ফসকেছে ফিল্ডারদের হাত থেকে। জীবন পেয়ে এরা প্রত্যেকেই সেঞ্চুরি করে পুড়িয়েছেন বাংলাদেশকে। হাস্যকর ভুলে সহজ রান আউট মিস করে কেইন উইলিয়ামসনকে জীবন দিয়েও ভুগেছিল বাংলাদেশ। আউটের সুযোগ আর ক্যাচ ফসকানো ছাড়াও ফিল্ডিং মিসের মহড়া ছিল বেশ দৃষ্টি কটু। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরেও বদলায়নি অবস্থা।
ফিল্ডিংয়ের এই দশা দেখে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানও জবাব চেয়েছিলেন কোচের কাছে। শনিবার ছুটি শেষে কাজে যোগ দেওয়া কুকের কাছে প্রশ্ন ছিল গণমাধ্যমেরও। এই দক্ষিণ আফ্রিকান মৌলিক ঘাটতির কথা জানালেও বড় ভুল যেন ঢাকতেই চাইলেন বেশি, ‘আমরা প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করছি। মৌলিক জায়গায় কিছু খামতি আছে। আমরা সেসব জায়গা শোধরানোর চেষ্টা করছি। বিশ্বকাপে আমাদের বেশ কিছু ভালো খেলা গেছে, আবার কিছু ম্যাচ খারাপ গেছে, কিছু ক্যাচ পড়েছে। সবাই জানে সব। সব জেনেই উন্নতির চেষ্টা করছে।’
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে হাত ফসকে সহজ ক্যাচ বেরিয়ে যাওয়ায় তো আর মৌলিক বিষয় নেই। কুক এখানেও ফিল্ডারদের ভুল আড়াল করতেই থাকলেন তৎপর, ‘আমার মনে হয় তা অধারাবাহিক (ক্যাচ ধরা) ছিল। আমরা কিছু ভাল ক্যাচ নিয়েছি বিশ্বকাপে, শ্রীলঙ্কা সফরেও। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে এসব নিতে হবে। আগামী ক’দিন এটাই ফোকাস করব।’
তাহলে ফিল্ডিং দল হিসেবে দশে কত নম্বর পাচ্ছে বাংলাদেশ? সংস্করণ ভেদে সেটা বিচার করতে গিয়ে বেশ উদার বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ। হরহামেশা বাজে ফিল্ডিং করেও কোচের কাছ থেকে প্রায় লেটার মার্কসের কাছাকাছিই পাচ্ছেন তারা, ‘একেক সংস্করণে একেক রকম হবে। টি-টোয়েন্টিতে আমি দশে সাড়ে ছয় দিতে চাইব এই মুহূর্তে। ওয়ানডেতে দিব সাড়ে সাত। আর টেস্টে দশে দিব ৭। এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে, আবার বেশ কিছু জায়গায় আমরা ভাল করছি।’
Comments