অবশেষে ন্যু ক্যাম্পে গোল পেলেন গ্রিজমান
অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ন্যু ক্যাম্পে খেলেছেন। খেলেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়েও। সবমিলিয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় খেলেন সেই ২০০৯ সাল থেকে। এক দশকের বেশি পেরিয়ে গেলেও কখনোই এ দুর্গে গোল দিতে পারেননি এ ফরাসি। একজন তারকা খেলোয়াড়ের জন্য এটা বেশ বড় ব্যর্থতাও বটে। তবে অবশেষে গেরো কাটিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা। তবে সেটা প্রতিপক্ষের হয়ে হয়নি। কাতালান ক্লাবের হয়ে প্রথমবার ন্যু ক্যাম্পে খেলতে নেমেই করেছেন জোড়া গোল। আর তাতে রোববার ন্যু ক্যাম্পের নায়ক আতোঁয়া গ্রিজমানই।
গত মৌসুমেই বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন গ্রিজমান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চুক্তিটি হয়নি। অ্যাতলেটিকোতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নানা নাটকের পর চলতি মৌসুমে ঠিকই যোগ দেন কাতালান ক্লাবে। তার বাই আউট ক্লজ ১২০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করে বার্সেলোনা। তবে এ নিয়েও চলছে বেশ ঝামেলা। অ্যাতলেটিকোর দাবি আরও ৮০ মিলিয়ন ইউরো। এতো ঝামেলা করে আনা খেলোয়াড় গতকালের আগ পর্যন্ত ছিলেন খোলসে বন্দী। ক্লাবেরও তাই দুশ্চিন্তার শেষ ছিলো না। তবে অবশেষে পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েছেন হালের অন্যতম সেরা তারকা।
দারুণ পারফরম্যান্সে তাই স্বস্তি মিলেছে গ্রিজমানের। স্বস্তি মিলেছে ক্লাবেরও। কারণ একে তো নেই দলের প্রাণ ভোমরা অধিনায়ক লিওনেল মেসি, তার উপর লুইস সুয়ারেজ ও উসমান দেম্বেলেও নেই। বার্সেলোনার আক্রমণভাগে তাই গ্রিজমান ছাড়া ছিলেন না কেউ। বাধ্য হয়ে বি দলের ১৬ বছরের কিশোর আনসু ফাতিকেও দলে টানতে হয় কোচ ভালভার্দেকে। কিন্তু দলের সেরা তারকাদের অনুপস্থিতি কোথায় বুঝতে দিলেন গ্রিজমান? জোড়া গোলের পাশাপাশি আরও একটি গোল করিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে তাই ব্যবধানটাও বড়।
অথচ রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচের ১৫তম মিনিটেই ন্যু ক্যাম্প স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। নাবিল ফেখিরের গোলে হতাশা চেপে বসে কাতালানদের ওপর। শঙ্কা তখন মেসিকে ছাড়া আরও একটি ম্যাচ কি তারা হারতে চলছে? কিন্তু সকল শঙ্কা একাই উড়িয়ে দেন গ্রিজমান। ৪১তম মিনিটে গোল শোধ করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার ৫ মিনিট পর দলকে এগিয়েও নেন তিনিই। তাতেই ম্যাচের গতি পেয়ে যায় বার্সা। পরে ৫৬তম মিনিটে কার্লোস পেরেজ, ৬০তম মিনিটে জর্দি আলবা এবং ৭৭তম মিনিটে আর্তুরো ভিদালের গোলে জয় নিশ্চিত হয়। শেষ দিকে অবশ্য লোরেঞ্জো মোরনের গোলে ব্যবধান কিছুটা কমে। তবে ৫-২ গোলের বড় জয় নিয়েই জয়ের পথে ফেরে বার্সেলোনা।
Comments