চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মেলে না শফিউলের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে কেটে গেছে নয় বছর। এতদিনে অনেকটা সিনিয়র ক্রিকেটারই হয়ে যাওয়ার কথা তার, কিংবা একদমই বিস্মৃত হওয়াও ছিল বাংলাদেশের বাস্তবতায় স্বাভাবিক। কিন্তু শফিউল ইসলাম না গেলেন হারিয়ে না থাকলেন কক্ষপথে। এই ঢুকেন, এই বেরুন করতে করতে এগিয়েছে তার ক্যারিয়ার।
Shafiul Islam
ছবি: বিসিবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে কেটে গেছে নয় বছর। এতদিনে অনেকটা সিনিয়র ক্রিকেটারই হয়ে যাওয়ার কথা তার, কিংবা একদমই বিস্মৃত হওয়াও ছিল বাংলাদেশের বাস্তবতায় স্বাভাবিক। কিন্তু শফিউল ইসলাম না গেলেন হারিয়ে না থাকলেন কক্ষপথে। এই ঢুকেন, এই বেরুন করতে করতে এগিয়েছে তার ক্যারিয়ার।

২০১০ সালে তিন সংস্করণেই অভিষেক হয় তার। এই ৯ বছরে খেলেছেন মাত্র ১১ টেস্ট। টেস্টেই তার পারফরম্যান্স সবচেয়ে মলিন। দুই দিকেই স্যুয়িং করানোর পারদর্শিতায় ওয়ানডেতেই সবচেয়ে সফল হয়েছেন। তাও ৫৯ ওয়ানডের ক্যারিয়ার দিচ্ছে না ৯ বছরের ছবি, আর টি-টোয়েন্টিতে নামতে পেরেছেন ১২ বার।

টানা খেলতে না পারায় অবশ্য চোট ছিল বড় বাধা। জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়েই চোটে পড়া যেন তার নিয়মিত ঘটনাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট আর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য প্রাথমিক দলে আছেন। মূল দলে জায়গা পাওয়ার আশায় থাকা এই পেসার সোমবার জানালেন নিজের আশা নিরাশার গল্প,  ‘নয় বছর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। নিজের দিক থেকে আমি খুশি না। যখন জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছি প্রথমবার, তারপর তিন বছর নিয়মিত খেলতাম। মাঝখানে হয়তো খেলতে পারিনি। ইনজুরি বা অন্যান্য কারণে। এখনও ক্যারিয়ার শেষ হয়নি। যদি সুযোগ পাই, যেটুকু সুযোগ পাই একটা লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারব।’

শরীরের ওজন অত্যধিক কম। পলকা শরীরের ২৯ বছর বয়েসী শফিউলকে দেখে মনে হয় না তিনি কোন পেসার। শারীরিক দক্ষতা আর ফিটনেস বাড়ানো নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু শফিউল এই জায়গায় নিজের খামতি দেখেন না, সব দায় দিলেন নিয়তিকেই, ‘আমার নিজের ম্যানেজমেন্টে সমস্যা না। আসলে দুর্ভাগ্য বলব। যা হয়েছে কোনো কারণে, আল্লাহ্‌ যা লিখে রেখেছেন সেটাই হয়েছে। আমি আমার কাজ সবসময় করার চেষ্টা করেছি। যখনই জাতীয় দলে ফিরে যাই, নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। হয়তোবা ডাক পাওয়ার পর ইনজুরিতে পড়েছি, এটাকে দুর্ভাগ্যই বলব। আসলে এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আল্লাহ্‌ যা লিখে রেখেছে সেটাই হয়েছে।’

শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে খেলেছেন, খুব একটা মন্দ হয়নি। তবে নিয়মিত জায়গা ধরে রাখতে হলে শান বাড়াতে হবে নিজের অস্ত্রে। শফিউলের অস্ত্র তো একটাই-স্যুয়িং। নিখুঁত লাইন-লেন্থে নিজের অস্ত্র প্রয়োগ করতে খাটছেন তিনি,  ‘হ্যাঁ অবশ্যই, নতুন বলে অ্যাকুরেসি বা এসব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। যদি এলোমেলো বল হয় তাহলে তো সুইং হয়ে লাভ নেই। তো অ্যাকুরেসিটা ঠিক করার চেষ্টা করব যেন এক জায়গায় বার বার বল করতে পারি। সুইংয়ের সাথে সাথে যেন এটাও যেন করতে পারি সেই চেষ্টা করছি। তাহলে আমার জন্য ভালো।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago