কোরাম সঙ্কটে ক্ষতি ১৬৩ কোটি টাকা: টিআইবি

দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশনের কোরাম সঙ্কটের কারণে প্রায় ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩ টাকার অপব্যবহার হয়েছে বলে এক সমীক্ষায় জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
bangladesh parliament
জাতীয় সংসদ অধিবেশন। স্টার ফাইল ছবি

দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশনের কোরাম সঙ্কটের কারণে প্রায় ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩ টাকার অপব্যবহার হয়েছে বলে এক সমীক্ষায় জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে টিআইবি জানায়, গত ২৩টি অধিবেশনে কোরাম সঙ্কট ছিলো ১৯৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

টিআইবি বলছে, দশম জাতীয় সংসদের ২৩টি অধিবেশনের ওপর এটি একটি সমন্বিত প্রতিবেদন, যেখানে দশম জাতীয় সংসদের কার্যক্রম ও কার্যকারিতা সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে শেষ হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দশম জাতীয় সংসদের মোট সময়ের মাত্র ১২ শতাংশ আইন প্রণয়নে ব্যয় হয় এবং সেসময় মাত্র ১৯৩টি সরকারি বিল পাস হয়। যেখানে ২০১৭-১৮ সালে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসে এই হার প্রায় ৪৮ শতাংশ এবং ২০১৪-১৯ সালে ভারতের ১৬তম লোকসভায় এই হার ৩২ শতাংশ ছিলো।

সেখানে আরও বলা হয়, বিল উত্থাপন এবং বিলের ওপর সদস্যদের আলোচনা ও মন্ত্রীর বক্তব্যসহ একটি বিল পাস করতে গড়ে প্রায় ৩১ মিনিট সময় ব্যয় হয়। যেখানে ভারতের ১৬তম লোকসভায় প্রতিটি বিল পাসে গড়ে প্রায় ১৪১ মিনিট ব্যয় হয়।

টিআইবির প্রতিবেদন বলছে, গত সংসদ অধিবেশনে এক থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে মোট বিলের ৭১ শতাংশ পাস হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) গত সংসদ অধিবেশনে তার প্রকৃত দায়িত্ব পালন করেনি। তাছাড়া বিল পাসে অষ্টম জাতীয় সংসদে (২০০১-২০০১৫) ৯ শতাংশ এবং নবম জাতীয় সংসদে (২০০৯-২০১৩) ৮ শতাংশ সময় ব্যয় করা হয়েছিলো।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now