রশিদ খান নিয়ে একদমই ভাবছেন না সাদমান
টি-টোয়েন্টিতে দুনিয়ার এক নম্বর বোলার রশিদ খান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এই ফরম্যাটে তাকে খেলতে মোটামুটি হিমশিমই খান। তবে সংস্করণ যখন টেস্ট, হিসাব না-কি তখন একেবারেই ভিন্ন। অন্তত ওপেনার সাদমান ইসলামের মত এটাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে তাই প্রতিপক্ষের সেরা অস্ত্র নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তাই নেই সাদমানের।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল না থাকায় ওপেনিংয়ে তরুণ সাদমানকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব। ওপেনার হিসেবে পেসারদের সামলে আসলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু থেকেই সাদমানদের পড়তে হতে পারে স্পিন পরীক্ষায়। তাতে সম্প্রতি অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া রশিদই ওদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
বাংলাদেশকে সীমিত পরিসরে বারবার ভোগানো রশিদ নিয়ে কেমন পরিকল্পনা দলের? সাদমান জানালেন বেশি কিছু ভাবছেনই না তারা, টি-টোয়েন্টির সফল রশিদ খান টেস্টে বাংলাদেশকে অতটা কাবু করতে পারবেন না বলে মত তার, ‘না ওরকম কোনো ভাবনা নেই। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের বোলিং আর টেস্ট ম্যাচের বোলিং দুইটা দুই জিনিস। আমাদের কেউ ওইরকম চিন্তা করছে না (রশিদ নিয়ে)।’
‘এমনিতেও আমরা অনেক ভালো ভালো স্পিন মোকাবেলা করি। আমার মনে হয় না রশিদ খান আমাদের অতিরিক্ত চাপ দেবে। টেস্ট ফরম্যাটটা অন্যরকম। এখানে বোলিংটা কখনওই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মিল করা যাবে না।’
অভিষেকের পর থেকে টেস্টে ছয় ইনিংস ব্যাট করেছেন সাদমান। টেস্টের মেজাজের সঙ্গে অনেকটাই মাননসই তার ব্যাটিং। বল ছাড়ার দক্ষতা থাকায় অভিষেকেই নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু সেসব বেশিরভাগ ছিল পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে।
আফগানদের বিপক্ষে তাকে পড়তে হবে ভিন্ন পরীক্ষায়। তিনজন লেগ স্পিনার আর একজন অফ স্পিনার থাকায় ওদের আক্রমণে শুরু থেকেই দেখা যেতে পারে স্পিন। তবে সাদমান স্পিন বলও ছাড়ার চিন্তা করেই রেখেছেন, ‘স্পিনও তো ছাড়া যায়। উইকেটের বাইরের বল আমার মনে হয় না তাড়া করার কোনো দরকার আছে। যদি স্কোরিং শট বন্ধ করা যায় তাহলে আউট না হওয়ারও চান্স বেড়ে যায়। যদি নরমাল ডিফেন্সেরই উপরই থাকি তাহলে ভালো হবে।’
Comments