রোহিঙ্গা শিবিরে শর্ত লঙ্ঘন করলে এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে যদি শর্ত লঙ্ঘন করে কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
rohingya refugee camps
রয়টার্স ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে যদি শর্ত লঙ্ঘন করে কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সর্বশেষ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করার পর সংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে অবহিত করেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্র পতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমারের ‘একগুঁয়েমি’ আচরণের কারণে সর্বশেষ প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা অনুষ্ঠানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল। সেই সাথে মিয়ানমারের দায় চাপানোর খেলা এবং সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রাক্কালে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখার বিষয়টি স্থান পায়।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৩০ হাজারের অধিক মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ মুসলিম সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি।

রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের আগে যাচাইয়ের জন্য ২৯ জুলাই ছয় হাজার পরিবারের ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পেয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মাত্র ৩,৪৫০ রোহিঙ্গাকে ছাড়পত্র দিয়েছে।

তবে ব্যাপক প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো আটকে যায় স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর কার্যক্রম। এ দিন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় আজ প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে, রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের ফেরার কথা ছিল গত বছরের ১৫ নভেম্বর। কিন্তু রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি না হওয়ায় এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now