এক সপ্তাহ ক্লাসের পর শিষ্যদের যেমন দেখছেন ল্যাঙ্গাফেল্ট
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সপ্তাহ খানেক কাজ করে ফেলছেন শার্ল ল্যাঙ্গাফেল্ট। এইসময়ে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেনদের শিখিয়ে পড়িয়ে নামিয়েছিলেন প্রস্তুতি ম্যাচে। তাতে স্বস্তির জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন নতুন কোচ। আরও কোথায় কাজ করতে হবে টের পাচ্ছেন তাও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে নামার আগে মিরপুরে নিজেরা ভাগাভাগি করে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন ক্রিকেটাররা। টেস্ট দলে থাকা তিন পেসারই এই প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝলক দেখাতে পেরেছেন। প্রথম দিন ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেন তাসকিন, ৪২ রানে ৩ উইকেট যায় ইবাদতের দখলে।
দ্বিতীয় দিনে স্কোয়াডে থাকা আরেক পেসার আবু জায়েদ রাহিও চেনান নিজেকে। ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। পেসারদের এমন নৈপুণ্যে বেশ আনন্দিত ল্যাঙ্গাফেল্ট, ‘তারা খুব ভালো বল করেছে। ঠিক জায়গায় বল ফেলেছে যেটা নিয়ে আমরা গত সপ্তাহে কাজ করছিলাম। কাজেই উন্নতি ভালোই। এটাই আমাকে উদ্দীপনা দিচ্ছে।’
এই তিনজনই সাফল্য পেয়েছেন নতুন বলে। চটপট উন্নতিটা দেখে কোচের মুখে চওড়া হাসি, ‘আমার জন্য আনন্দের হলো তারা নতুন বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। আরও কাজ করতে হবে। তাদের গতি আছে। আমার কাছে নিয়ন্ত্রনটা আসল। আপনার গতি থাকলে নিয়ন্ত্রণ দরকার হবে।’
কিছু জায়গায় উন্নতি হয়েছে, উন্নতি করতে হবে আরও অনেক জায়গায়। আপাতত ধারাবাহিকতা আর সিম পজিশনের দিকে সবচেয়ে গুরুত্ব কোচের, 'ধারাবাহিকতা দরকার, জায়গায় বল ফেলতে হবে। যখন আপনি বাইরে যাবেন, এমনকি ভারতেও আমরা গতিময় উইকেট পেতে পারি। তাই তাদেরকে ধারাবাহিকক খেলার মতো করে তৈরি করতে হবে। কিছু বোলার তাদের কব্জির পজিশন ঠিক করতে পারে। তাদের সিম পজিশনটা ঠিকঠাক করতে হবে। এটা নিয়ে কাজ করছি।'
প্রস্তুতি ম্যাচে পেসাররা ভালো করেছেন। কিন্তু মূল ম্যাচে তাদের ভূমিকা কতটুকু হবে তা নিয়ে আছে সন্দেহ। কারণ স্কোয়াডে রাখাই হয়েছে তিন পেসার। তারমধ্য থেকে দুজনের বেশি খেলানোর সম্ভাবনা নেই, এমনকি স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ নামতে পারে এক পেসার নিয়েও। এই নিয়ে আফসোস থাকলেও দলের পরিকল্পনার কথাই অগ্রাধিকার পাচ্ছে নতুন কোচের কাছে, ‘এটা অধিনায়কের পরিকল্পনা। আপনি (ম্যানেজমেন্ট) যা-ই চাইবেন আমি খুশি। আমি এখানে আছি পেসারদের প্রস্তুত রাখার জন্য। অধিনায়ক যদি একজন পেসার চায়, এটা তার পছন্দ।’
Comments